ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
বালুরঘাটের বিডিও তথা অ্যাডিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার সম্বল ঝা’র কথায়, সকলেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সরকারি কাজ করে থাকেন। কিন্তু নির্বাচনের কাজ একটু অন্য ধরনের। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা সেসব করা সম্ভব কি না। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা খুব ভালোভাবে দায়িত্ব সামলান। জেলাশাসকের উদ্যোগে এই জেলায় প্রথম বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কর্মীদের পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের মনোবল বাড়াতে নির্বাচন কমিশন এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দল। এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজে সমানভাবে চলতে পারেন, এই উদ্যোগে সেটাই প্রমাণিত হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের গার্লস কলেজে ওই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত ভোটকেন্দ্র হবে। কেন্দ্রটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ওই কেন্দ্রের জন্য চারজন কর্মী রাখা হবে। একজন প্রিসাইডিং অফিসার, তিনজন পোলিং অফিসার থাকবেন। পাশাপাশি আরও কয়েকজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে রিজার্ভ হিসেবে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বয়সজনিত কারণে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে অক্ষম বা বিশেষভাবে সক্ষম ৭ হাজার ১২৩ জন ভোটার রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ করবে প্রশাসন।
বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে আলাদাভাবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হচ্ছে। এটা নিশ্চয় একটা ভালো উদ্যোগ। এর ফলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মনোবল বাড়বে।
আরএসপি নেত্রী সুচেতা বিশ্বাস বলেন, আমরা কমিশনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। সমাজে সব মানুষই সমান। তাই এই ধরনের আরও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।