পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
কোচবিহারের মাটি মমতার কাছে নতুন নয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলার মাথাভাঙা, নাটাবাড়ি, শীতলকুচি, তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ, চ্যাংরাবান্ধা প্রভৃতি জায়গায় নানা সময়ে এসেছেন। বাম আমলে রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের ডাকে তিনি যে নানা ঘটনায় এখানে এসেছিলেন, সেই সমস্ত বিষয় এদিনের জনসভা থেকে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এভাবে নবীন-প্রবীণদের নাম ধরে উল্লেখ করা, তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, তাঁদের ভূমিকা, গুরুত্ব, প্রশংসার বিষয়টি নির্বাচনের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলনেত্রীর মুখে এমন কথা শুনে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব নির্বাচনের মুখে বাড়তি অক্সিজেন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার সাথী উদয়ন গুহ, অরূপ বিশ্বাস। আমাদের দীর্ঘদিনের পুরনো সম্মানীয় গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, যিনি আমাদের কোচবিহারের নিপাট ভদ্রলোক প্রার্থী। যিনি আপনাদের আশীর্বাদে, শুভেচ্ছায়, দোয়ায় জিতবেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবি আমার চিরকালের পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে রবি, জলিল, পার্থ সকলে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। বংশীবদন বর্মন, বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকেও দীর্ঘদিন চিনি। পরেশ অধিকারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সুমিতা বর্মন, নিরঞ্জন আমার পুরনো দিনের সহকর্মী। বংশীবদন বর্মন, অধীর রায় সহ খোকন মিয়াঁ, আমিনা আহমেদ, চন্দনা ভৌমিক, রাকেশ চৌধুরী, সঙ্গীতা, মাধবী সকলেই রয়েছেন।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে অনেক কর্মসূচি করেছি কোচবিহারের মাটিতে। আপনাদের মনে আছে নার্স বর্ণালী দত্ত’র কথা? কোচবিহারের ঘটনা। রবিরা তখন আমাকে নিয়ে এসেছিল। হিপ্পিকেও (অভিজিৎ দে ভৌমিক) ধন্যবাদ দেব। ভালো কাজ করছে। পার্থরাও ভালো করছে।
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি এসেছিলেন। সেসময় কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ঐক্যের বার্তা দিয়েছিলেন। সেই ঐক্যের বাতাবরণ লোকসভা নির্বাচনের প্রচার লগ্নে তাঁরা বজায় রেখেছেন। নবীন-প্রবীণ দুই নেতৃত্বকেই মাঠে ময়দানে নেমে প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন মঞ্চ থেকে নবীন-প্রবীণ নেতাদের নাম ধরে ধরে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরিচয়, কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা বলেন। অনেক নেতার সঙ্গে মঞ্চে তাঁকে কিছু কথা বলতে দেখা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাসমেলা মাঠের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভা মঞ্চে জেলার নেতাদের সম্পর্কে দলের সুপ্রিমো এভাবে বলায় স্বাভাবিকভাবে নেতৃত্ব আরও উজ্জীবিত।