আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
এবিষয়ে জেলা সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, বর্ষার পরপরই আমরা মহানন্দার পাড় বাধাই নিয়ে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। সাহাপুরের যেখানে ধস সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে, আমরা সেখানকার কাজটিও প্রকল্পের মধ্যেই ধরেছি। দ্রুত কাজ করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাতিয়ান মোড়, ডোবাপাড়া, মণ্ডলপাড়ার মতো এলাকায় গত কয়েক বছর ধরেই ভাঙন সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে। এবছরও বর্ষাকালে ভাঙনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। শীতকালে নদীতে জল থাকে কম। কিন্তু এবছর শীতকালেও পাড় ভাঙার সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিদিনই একটু একটু করে ধসে পড়ছে নদীর পাড়। উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা দ্রুত নদীর পাড় সংস্কারের দাবি তুলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এর আগেও স্থানীয় জনপ্রতিধিদের কাছে তাঁরা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ খগেন মূর্মুর দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের সমস্যার কথা জেনে বৃহস্পতিবার সাংসদ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। নৌকা চেপে এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।
সাংসদ বলেন, মহানন্দা নদী মণ্ডলপাড়ায় এসে বাঁক নিয়ে ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। বর্তমানে যেভাবে নদীর গতিপথ রয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মহানন্দার সঙ্গে বেহুলা নদী মিশে যেতে পারে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাসিন্দারা খুবই ভয়ে ভয়ে আছেন। মহানন্দা নদী ড্রেজিং করে ভাঙন রোধের কাজ করতে হবে। তা না করলে সমস্যা মিটবে না। বিষয়টি সেচ দপ্তরের কর্তাদেরও জানিয়েছি।
পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা নিতাই মণ্ডল বলেন, আমার এলাকায় বাঁধের প্রায় দেড়শো মিটার অংশ বিপন্ন। নদীর পাড়ে থাকা বড় বড় গাছ এর মধ্যেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। যেকোনও দিন বাড়িঘরও নদীতে গিয়ে পড়বে।
পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হারেজ আলি বলেন, ওই এলাকার এই সমস্যার কথা এতদিন বাসিন্দারা আমাদের লিখিতভাবে জানাননি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা সত্যনারায়ণ শ্রীবাস্তব বলেন, আমাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহানন্দা নদীর পাশেই আমাদের বাড়ি। বাঁধের নীচ থেকেও মাটি ধসে যাচ্ছে। যে অংশে বাঁধ রয়েছে, তার অনেকটা ভিতরে চলে এসেছে মহানন্দা। আমরা আতঙ্কিত। যেকোনও সময় ওই বাঁধও ভেঙে যেতে পারে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না।