আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় নতুন বছরকে বরণ করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। সন্ধ্যা নামার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির মাঝেও উৎসবে কোনও ভাঁটা পড়েনি। তবে সকলে যাতে সতর্কতার সঙ্গে উৎসব পালন করেন সেদিকে পুলিস প্রশাসনের নজর ছিল।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, জেলার দুই পুর শহর সহ সর্বত্র পুলিস নজর রেখেছিল। সরকারের নির্দেশিকা মেনে যাতে সকলে উৎসব পালন করে সেদিকে আমরা খেয়াল রেখেছিলাম।
এদিকে, এদিন মধ্যরাত থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মদিন পালনও শুরু হয়ে যায়। এদিন ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার ঘর ছোঁয়ামাত্র ইংলিশবাজার শহরের কানি মোড়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দলের জন্মদিন পালনে কেকও কাটা হয়। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর বাবলা সরকার এবং জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চৈতালি সরকার ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বাবলাবাবু বলেন, আমরা প্রতিবছরই ধুমধামের সঙ্গে দলের জন্মদিন পালন করি। গত কয়েকদিন ধরেই কানি মোড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। এদিন মধ্যরাতে আমরা কেক কেটে ও দলের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছি। সরকার নির্দেশিত করোনা সতর্কতা মেনেই যাবতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এদিকে, তৃণমূলের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তরফেও নববর্ষে জনসংযোগে জোর দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মালদহ জেলা সহ সভাপতি তথা দলের মিডিয়া ইনচার্জ অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বৃহস্পতিবারের পাশাপাশি শুক্রবারও আমাদের দলের নানা কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দলের কর্মী ও নেতারা জেলার সাধারণ মানুষকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাবেন।
ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দা ঝুমা চট্টোপাধ্যায়, সৌগত মণ্ডলরা বলেন, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিকেল থেকেই আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছি। রাতে স্থানীয় ক্লাব প্রাঙ্গনে পিকনিকের আসর বসে। গভীর রাত পর্যন্ত খাওয়াদাওয়া চলে। করোনার জন্য উৎসবের আনন্দে কিছুটা ব্যাঘাত তো ঘটেছেই। তবে নতুন বছরে করোনা বিদায় নেবে বলেই আমরা আশাবাদী। ফের আমরা জাঁকজমকের সঙ্গে উৎসব পালন করব।