আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ডিটিপিএস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চারটি ইউনিট রয়েছে। তারমধ্যে তিনটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বহু বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ৪ নম্বর ইউনিটটিতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থায়ী ৪০০ ও অস্থায়ী প্রায় ১৩০০ কর্মী কর্মরত রয়েছেন। ২০১৭সালে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করে ২৫ বছরের প্রাচীন দেশের প্রতিটি তাপবিদ্যুৎ ইউনিট বন্ধ করতে হবে। দূষণমুক্ত রাখতে আরও বেশকিছু বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২০২০ সালে। সেইমতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ইউনিটগুলির তালিকা প্রকাশ হয়। সেই তালিকায় ডিটিপিএসএর ৪ নম্বর ইউনিটটি চিহ্নিত করা হয়। সেই সময় থেকে শ্রমিকরা ইউনিট আধুনিকীকরণের দাবিতে ও নতুন একটি ইউনিট তৈরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। অভিযোগ, ডিটিপিএস কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবিতে কোনও কর্ণপাত করেনি। ৩১ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎই ৪ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় জোরদার আন্দোলন।
৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা শ্রমিক নেতা স্বরূপ মণ্ডল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিতভাবে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা আধুনিকীকরণ ও নতুন ইউনিট তৈরির দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু কোনও উদ্যোগ কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না। এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের রুটিরুজি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আমরা এই দাবিদাওয়া নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ডিটিপিএসের মেম্বার সেক্রেটারি প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই ইউনিটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিটটি রক্ষণাবেক্ষণ সহ মেরামতির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো ৮-১০ দিনের জন্য উৎপাদন বন্ধ রেখে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি ২৫ বছরের বেশি পুরনো ইউনিটগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা পরিবেশ দূষণের বিষয়টি ভেবে ইউনিটিতে কীভাবে উৎপাদন বহাল রাখা যায় তার জন্য বিভিন্ন রকমভাবে পরীক্ষা চালাচ্ছি।