আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ, যাদবপুর থানার ১,সি, রায়পুর ইস্ট রোডে খুন হন ৬৯ বছর বয়সি শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথার পেছনে আঘাত সহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। খবর পেয়ে তদন্তে নামে যাদবপুর থানার পাশাপাশি লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। এই তদন্তেই উঠে আসে, বচসার সময় বাবাকে ধাক্কা মারেন অপর্ণ। টাল সামলাতে না পেরে নীচে পড়ে যান শুভময়বাবু। গোয়েন্দাদের অনুমান, সম্ভবত এই পড়ে যাওয়ার সময় মাথার পেছনে আঘাত লাগে। মাথা ফেটে যায় তাঁর। ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্ত হয়েছে।
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানিয়েছে, এই খুনের তদন্তে নেমে যাদবপুর থানা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাতেই জানা গিয়েছে, পড়াশুনায় মেধাবী হলেও, চাকরি পাননি অর্পণ। তারপর থেকেই কিছুটা মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। সম্প্রতি তা বাড়াবাড়ি আকার নেয়। ধৃত অর্পণকে শনিবার বাঙ্গুর ইনস্টিউট অব নিউরোলজিতে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসক জানিয়েছেন ওই যুবক মানসিক রোগে আক্রান্ত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিনই অর্পণের সঙ্গে বাবা-মায়ের বচসা হত। শুক্রবার রাতে এমনই এক বচসা চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বাসিন্দাদের একজন দাবি করেছেন, সম্পত্তি নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল অর্পণের। যদিও গোয়েন্দারা তা মানতে চাননি। মানসিকভাবে সুস্থ নন ওই যুবক। তাই প্রাথমিক তদন্তের শেষে ৩০২ ধারায় খুনের মামলার পরিবর্তে যাদবপুর থানা ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে।
গোয়েন্দা বিভাগের এক সূত্র জানিয়েছে, প্রথমত, অর্পণ মানসিকভাবে অসুস্থ। দ্বিতীয়ত, এক্ষেত্রে খুনের ‘মোটিভ’ বা উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে কিছু নেই। তাই খুনের বদলে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাই দায়ের করা হয়েছে।
যাদবপুরের রায়পুর রোডে এই বাড়িতেই খুন হয়েছিলেন শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায়।-নিজস্ব চিত্র