আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
পুণ্যার্থী, অতিথি, সরকারি কর্মী ও সংবাদমাধ্যমের জন্য থাকার ব্যবস্থা ঘরগুলি প্রায় শেষের দিকে। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কাঠামো তৈরি করে তার উপর হোগলা পাতার ছাউনি লাগানোর কাজ চলছে কিছু কিছু জায়গায়। কপিল মুনির মন্দিরের সামনে চাতাল পরিষ্কার করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকজন মহিলাকে। সকাল-বিকেল মন্দিরের সামনের অংশটিকে সাফ-সুতরো রাখতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যে হোগলা পাতা দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি করা হয়, সেগুলিকে একটি বিশেষ রাসায়নিক তরল পদার্থে ভিজিয়ে ব্যবহার করা হয়। সেই কাজও চলছে জোর কদমে। সময়ের আগে যাতে সব কাজ শেষ করা যায়, তার জন্য অন্তত দু হাজার কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। মাটি তোলা, রাস্তা সারাই, অস্থায়ী ঘর তৈরি ইত্যাদি কাজ করছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, সেফ হোম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেও তাদের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাগরের বিডিও।
কিন্তু সংক্রমণের আতঙ্কে এখনও পর্যন্ত ভিড়ের যা ছবি দেখা গেল, তাতে বেশ হতাশ দোকানিরা। কারণ, তাঁদের মতে, এই সময়টাতেই একটু বাড়তি আয় হয়েই থাকে। কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত সেই ভিড় নেই। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার এখনও সেটা দেখা যায়নি। একই সুর শোনা গেল ভেসেল চালকদের কথাতেও। তাঁরা বলেন, অন্যান্য বার এই সময় ভিন রাজ্য থেকে তীর্থযাত্রীদের ভিড় শুরু হয়ে যেত। এবার সেটা নেই। এখনও বাড়তি ভেসেল চালাতে হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে, মেলা পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে, তখন হয়তো লাগবে।
মেলা প্রাঙ্গণ জুড়েই স্বাস্থ্য বিধি পালন করা নিয়ে যথেষ্ট কড়াকড়ি দেখা গেল। মাস্ক ছাড়া কাউকেই সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ মাস্ক কানে কিংবা হাতে করে নিয়ে ঘুরলে সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকরা এসে সেই ব্যক্তিকে সতর্ক করে দিচ্ছেন। মেলা প্রস্তুতি নিয়ে জেলা শাসক পি উলগানাথন বলেন, কাজ এখন শেষ পর্যায়। পলি তোলার কাজ শেষ। আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।