আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী ইছামতী। আন্তর্জাতিক এই নদীর সংস্কারে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমান ভুমিকা রয়েছে। পলি জমে ইছামতীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত কয়েক বছর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই নদীর কিছুটা সংস্কার হয়েছে। কিন্তু কালাঞ্চি থেকে আংরাইল পর্যন্ত ইছামতীর সাড়ে ১৯ কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত। সেই অংশে পলি জমে থাকায় জল সঠিকভাবে বইছে না। এছাড়া বাংলাদেশের দিক থেকে প্রচুর কচুরিপানা ঢুকছে। ফলে ভারতের দিকে নদী পরিষ্কার করলেও তা দ্রুত কচুরিপানায় ভরে যাচ্ছে। সামান্য বর্ষায় বিভিন্ন এলাকা বানভাসি হচ্ছে। শনিবার হাবড়ার পৃথিবা পঞ্চায়েতের পুরনো বাজারহাট এলাকায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে আসেন গজেন্দ্রবাবু। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইছামতী সংস্কার রাজ্যের বিষয়। রাজ্য সরকার এই নদী সংস্কারের বিষয়ে কোনও পরিকল্পনা পাঠালে, তা আমরা করে দেব। এদিন তিনি হাবড়ার উন্নয়ন নিয়ে এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কাঠগড়ায় তোলেন। বলেন, হাবড়ায় এখনও প্রচুর মানুষ ভাঙা বাড়িতে থাকেন। টিন ও টালির ছাউনির নীচে বাধ্য হয়ে বসবাস করছেন। অথচ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে সকলের জন্য পাকা বাড়ি করে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই যোজনা হাবড়ার মানুষ কেন পাবেন না? তিনি আরও বলেন, এখানকার বিধায়ক রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। অথচ তাঁর কেন্দ্রেই সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যের শেয়ার রয়েছে। দুই সরকারের টাকায় এই প্রকল্প চললেও গত এক বছর ধরে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। রাজ্য সরকার হাবড়ায় এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজার পরিবারকে নতুন বাড়ি করে দিয়েছে। এখনও তালিকায় থাকা ৯ হাজার পরিবার বাড়ি তৈরির টাকা পাবে।