Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একুশের শপথ ও বাংলার ভবিষ্যৎ
হিমাংশু সিংহ

পৃথিবীর বুক থেকে একটা অভিশপ্ত মহামারীর বছর সবে বিদায় নিয়েছে। এমন দুঃসময় যেন আর কোনওদিন মানবসমাজের সামনে না আসে, সেই প্রার্থনা দিয়েই শুরু হয়েছে একুশের যাত্রা। কিন্তু আমাদের বাংলার পক্ষে সময়টা অত্যন্ত কঠিন। নতুন বছরে এক ভয়ঙ্কর শক্তি নানা ছুতোয় আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে মরিয়া। বাঙালির যাবতীয় নিজস্বতাকে সাইনবোর্ডে পরিণত করার আয়োজন চলছে কিছু বহিরাগত আর এই রাজ্যেরই কিছু লোভী মানুষের সম্মিলিত তৎপরতায়। তার দাপাদাপি দুর্গাপুজোর পর থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয়ে গিয়েছে। একহাতে নানা প্রলোভন ছড়িয়ে দিল্লির বাবুদের কথায় ঝিঙে, পটলের মতো নেতা বিধায়ক মন্ত্রী কেনা। এবং সেই সুযোগে বাংলা দখলের ‘বিষ বপন’ করা। আর অন্যহাতে ‘আমি তোমাদের লোক’ সাজতে গরিব কৃষক, অসহায় বাউলের বাড়িতে পাঁচ পদ দিয়ে দুপুরের বর্ণাঢ্য নিরামিষ ভোজন। তারপর খেয়ে দেয়ে হাত ধুয়ে সেইসব গরিবের দুঃখের বারোমাস্যার খোঁজ না নিয়েই সিআরপি পরিবেষ্টিত হয়ে চম্পট দেওয়া আকাশপথে। একে ভণ্ডামি ছাড়া আর কী বলে? এভাবে কোনও উদাস বাউলের হৃদমাঝারে স্থায়ী আসন পাওয়া যায়!
অথচ সেই রসে মজেই এই সেদিনও ‘বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও’ স্লোগান তোলা বাংলা মায়ের উজ্জ্বল সন্তান বেমালুম বলে বসছেন, রাজ্যটাকে এবার মোদিজির হাতে তুলে দিতে হবে! শিল্প গড়া নয়, বেকারদের চাকরি দেওয়া নয়, শিক্ষার সংস্কার নয়, গোটা রাজ্যটাকে অমুকের হাতে তুলে দাও। কী ভয়ঙ্কর সংকল্প! বাংলার মাটি যেন জয়নগরের মোয়া। তাঁকে বাহবা দিয়ে সবিনয়ে বলি, নতুন বছরে আপনি কি মিরজাফরের চরিত্রটারই ষোলোআনা আত্মীকরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন? নিজের ও পরিবারের স্বার্থ রক্ষা করতে বাংলার মাটি আজ আপনার কাছে বেচাকেনার পণ্য, অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনার জীবনের এখন একটাই মিশন এই রাজ্যটাকে একটা অবাঙালি প্রধান দলের হাতে তুলে দেওয়া। মনীষীদের অসম্মান দেখেও চুপ করে থাকা। কিন্তু বাংলার বুকে এভাবে ভিনদেশি সংস্কৃতির আমদানি রাজ্যের মানুষ কোন চোখে দেখছে, তাতে আপনার আজ কিছু যায় আসে না। ইতিহাসে পড়া বর্গির আক্রমণের তুলনায় এই আগ্রাসন তো কোনও অংশে কম নয়। তাই চারদিকে আজ একটা আশ্চর্য বিপন্নতার ছবি। বিভাজনের বিষ নিঃশ্বাস। দেখে মনে হচ্ছে, গত ৫০ বছরে বাংলা ও বাঙালি এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি কখনও।
নতুন বছর শুরুর কয়েক মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বাঙালি ও অবাঙালির লড়াই আরও তীব্র হতে চলেছে। কাদের হাতে থাকবে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ? সেনগুপ্ত, রায়, মুখোপাধ্যায়, ভট্টাচার্য, বন্দ্যোপাধ্যায়রা ক্রমে ব্রাত্য হয়ে নাড্ডা, মোদি, শাহ, মেননদের মতো ধুরন্ধর ‘কারিয়া কর্তা’দের আড়ালে হারিয়ে যাবে কি না, দলবদলুরা আমল না দিলেও নিঃসন্দেহে এটাই এই  মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন। বাংলার প্রতিটি নাগরিককে ভেবেচিন্তে সতর্কতার সঙ্গে সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে রায় দিতে হবে। একদিকে রবীন্দ্রনাথ-অমর্ত্য সেনকে মুছে দেওয়ায় প্রয়াসী হওয়া এক ভয়ঙ্কর দল। তাদের বিভেদ বিভাজনের বিষাক্ত রাজনীতি। আর অন্যদিকে শান্তিপ্রিয়, রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা, খুনসুটি করা, অ্যাকাডেমিতে নাটক দেখা মাছ-ভাত খাওয়া আটপৌরে সাদাসিধে বাঙালি। কোনটা শেষ পর্যন্ত থাকবে? এই বাংলার সামাজিক পরম্পরাটাই কি শেষে বিকিয়ে যাবে? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই নির্ণায়ক নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছেন বাংলার মানুষ। এই রাজ্যটা কতটা বাঙালির থাকবে, আমাদের মনীষীদের সম্মান, কৃষ্টি-সংস্কৃতি কতটা অক্ষুণ্ণ থাকবে, হিন্দু-মুসলমানের সাম্প্রদায়িক বিষ গলা পর্যন্ত চড়ে গেলে আমরা আমাদের সত্তাকে বিসর্জন দিতে বাধ্য হব কি না, তার উপরই চূড়ান্ত গণভোট এবারের নির্বাচন। তাই এই বদলে যাওয়া পটভূমিতে সমগ্র বাঙালি জাতির দায়িত্ব এক অর্থে বিরাট। সামান্য ভুল করলে আমাদের গর্ব ও ঐতিহ্যের সংস্কৃতি চাপা পড়ে যাবে। বাংলার মাটি, বাংলার জল যুগ যুগ ধরে যা আমাদের গর্ব, সব কলুষিত হয়ে যাবে বহিরাগত হিন্দিভাষীদের দাপটে। আক্রমণের মুখে পড়বে বিশ্বকবির যত্নে লালিত বাংলা ভাষা। বিস্মৃত হয়ে যাবে বঙ্কিমচন্দ্র থেকে আমাদের তাবৎ মনীষীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। চারদিকে শুধু পানের পিক আর হিন্দি কথার তোড়ে ভেসে যাবে বাঙালির যা আপন, বাঙালির যা নিজস্ব সেই সব সুকুমার সম্ভাবনা ও প্রবৃত্তি। তখন সহ্য হবে তো!
যাঁদের উচ্চারণে এখনও ‘ন’ এবং ‘ণ’ এর পার্থক্য ধরা যায় না তাঁরাই পক্ষকাল অন্তর বাংলায় প্রমোদ ভ্রমণে এসে মঞ্চ আলো করে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিচ্ছেন। যে দলকে আগাপাছতলা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বলে তোপ দাগছেন, নারদ, সারদার টাকা খাওয়ার সতেরো কাহন বর্ণনা করছেন, সেই দলেরই দু’দশকের বেশি ঘর করা কেষ্টবিষ্টুরাই মঞ্চ আলো করে বসে থাকছেন, এই দ্বিচারিতার অর্থ কী? তাহলে দুর্নীতিতে মদত দিচ্ছে কে? ব্ল্যাকমেল করে অসৎ নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়া তো আসলে দুর্নীতিই—এটা প্রকারান্তরে চোখে ধুলো দিয়ে বাংলার মানুষের সঙ্গে চোর-পুলিস খেলা নয় কি? কে না জানে, দু’শো বছর আগেও দখলদাররা বিশ্বাসঘাতক ও বেইমানদের আশ্রয় করেই অঙ্গরাজ্য থেকে শুরু করে পাশের দেশ দখলে মন দিত। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে না পারলে রাজ্যটার সর্বনাশ হয়ে যাবে। 
মোদি-অমিত শাহরা বলছেন, একবার ক্ষমতা পেলেই ‘সোনার বাংলা’ গড়ে দেবেন। খুব ভালো কথা। তাহলে টানা ছ’বছর এককভাবে দিল্লি শাসন করেও কেন সোনার ভারত গড়ার চেষ্টা হল না? কেন মোদিজির প্রতিশ্রুতি মতো বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির ব্যবস্থা হল না? হাজার হাজার কৃষক দিল্লির প্রবল ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে এক মাসেরও উপর বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন, সোনার দেশে এ জিনিস ভাবা যায়! নতুন চাকরির ব্যবস্থা হওয়া তো দূরে থাক, যাঁদের কাজ ছিল তাঁরাও তা হারিয়ে হতাশ চোখে আকাশের দিকে চেয়ে বসে আছেন। ক্ষমতায় আসার পর  নোট বাতিল করে কালো টাকার মূলে আঘাত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। অথচ কালো টাকার রমরমা তো কমেনি, উল্টে তার দাপট আজ আরও বেড়ে গিয়েছে! এক্ষেত্রেও ভিলেন সেই কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে ছাপানো নতুন ২০০০ টাকার নোট। অদূরদর্শী জিএসটি নীতি দেশের ছোটবড় ব্যবসায়ীদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। রেল সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরের কর্মীদের চাকরি ঘিরে অনিশ্চয়তার ছায়া। তাহলে সোনার ভারতে মানুষের প্রাপ্তির ঝুলিতে আর কী কী আছে? কই কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী—কেউ তো বলছেন না মোদিজি ছ’বছরে সোনার ভারত গড়ে দিয়েছেন! তাহলে ভোটের আগে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার নামে হঠাৎ এই মিথ্যাচার কেন? বাইরে থেকে এসে স্বপ্ন দেখাতে আর বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মানুষকে নেশার ঘোরে ডুবিয়ে দিতে আপত্তি কোথায়—বিশেষ করে যখন ক্ষমতা থেকে অর্থবল কোনও কিছুরই অভাব তাঁদের নেই। বাংলায় ঠিক সেই কাজটাই অত্যন্ত সন্তর্পণে করছে গেরুয়া বাহিনী ও কিছু দলত্যাগী স্বার্থপর নেতা। কিন্তু একবার সর্বনাশ হয়ে গেলে আর তো সংশোধনের উপায় নেই।
গেরুয়া শক্তি তার প্রভাব বিস্তারে আজ কতটা মরিয়া তার প্রমাণ দু’দিন আগের একটা ছোট্ট ঘটনা। শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীদের উপর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আচমকা গুলি চালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া কপিল গুজ্জরকে পর্যন্ত কিছু না জেনেই দলে টেনে নেয় বিজেপির গাজিয়াবাদ শাখা। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। চাপের মুখে দিল্লির নির্দেশে দল থেকে কপিলকে বহিষ্কার করা হয়। দলে নেওয়া আর তাড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। সেই সার্কাস থেকে বাদ নেই বাংলাও। আসানসোলের এক নেতাকে নিয়ে তো কম নাটক হল না। আরও নাটক বাকি আছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, বঙ্গ বিজেপির এখন একটাই কাজ—তৃণমূলের মধ্যে সযত্নে মিরজাফর খুঁজে বার করা। আমাদের দেশে ভোট এলেই ভেক ধরার লোকেরও অভাব হয় না। টানা দশ বছর শাসন ক্ষমতা ভোগ করার পর তৃণমূলেরও একটি অংশ আজ সেই দোষে দুষ্ট। তাই শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী কেনার দুশো আয়োজন। 
অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে বলছেন, অপমানিত হয়েই দল ছেড়েছি। তাঁদের সম্মান দিয়ে প্রশ্ন করি, বিজেপিতে বুঝি খুব গণতান্ত্রিক হাওয়া! শরিকদের অধিকার সুরক্ষিত। যদি তাই হয়, তাহলে গত ছ’বছরে ১৯টি শরিক দল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গ ছেড়েছে কেন? এত সুসময়। দেশটাকে সোনায় মুড়ে ফেলার এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন। তাহলে একের পর এক শরিক এনডিএ ছাড়ল কেন? শিবসেনা, অকালি দল, রাজস্থানের আরএলপি তালিকায় অনেকেই! শেষ খবর অনুযায়ী, জোর টানাপোড়েন শুরু হয়েছে নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের সঙ্গেও। অথচ নীতীশ কুমারকে শিখণ্ডী করেই মোদি-অমিত শাহের বিজেপি বিহার দখল সম্পূর্ণ করেছিল। এখন প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই এবার নীতীশ কুমারকে দুর্বল করার পালা। অরুণাচলে নীতীশের দল ভাঙিয়েই ছয় বিধায়ককে গেরুয়া শিবিরে টেনে নিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। সামনে চলে এসেছে তার ভয়ঙ্কর চেহারা। 
অতঃপর সেই অনিবার্য প্রশ্ন, বাংলার কী হবে? বাংলার মানুষকেই আপন শক্তি ও আত্মবিশ্বাসের জোরে নিজের ভাগ্য নিরূপণ করতে হবে। এরাজ্যের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগ বড় কম আসেনি। যাবতীয় বিপর্যয় সামলে বাঙালির জয়যাত্রা অক্ষুণ্ণ থেকেছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে গোটা জাতি। এবারও ভোটযন্ত্রে সঠিক বোতামটা টিপে যাবতীয় চক্রান্ত, অপচেষ্টা বানচাল করতে হবে। বাংলার আপামর জনগণ সেই অগ্নিপরীক্ষার জন্যই মনে মনে প্রস্তুত হতে শুরু করেছে। মেঘ কেটে যাবেই।
মমতার ‘কৃষকবন্ধু’ বনাম
মোদির ‘কিষান সম্মান নিধি’
তন্ময় মল্লিক

গোটা বিশ্ব যদি বলে, রাজ্য সরকার চাষিদের বঞ্চিত করছে বা ঠকাচ্ছে, সেটা চাষি কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না। উল্টে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনা’র গোটা বিষয়টি চাষিরা জানলে নাক ও নরুনের তফাৎটা উপলব্ধি করতে পারবেন। বিশদ

02nd  January, 2021
বিশের আঁধার ঘুচিয়ে
‘একুশ’ হোক আলোকিত
মৃণালকান্তি দাস

‘বিশের বিষ’ ভুলতে চাই আমরা। করোনার বিষ নির্মূলে প্রতিটি মানুষের হাতে পৌঁছাক অমূল্য ভ্যাকসিন। যত দ্রুত সম্ভব! নতুন বছরের প্রার্থনা একটাই, ‘বিশে’-এর 
আঁধার ঘুচিয়ে ‘একুশ’ যেন আলোকিত হয়ে ওঠে।
বিশদ

01st  January, 2021
শ্রীরামকৃষ্ণের
কল্পতরু-লীলা
স্বামী আত্মবোধানন্দ

‘কল্পতরুর নীচে বসে একজনের ইচ্ছে হ’ল রাজা হই, অমনি সে রাজা হ’ল। পরমুহূর্তে ইচ্ছে হ’ল, যেন সুন্দরী স্ত্রী পাই, সঙ্গে সঙ্গে তাই পেল। তারপর মনে হ’ল যদি বাঘ এসে তাকে খেয়ে ফেলে, অমনি বাঘ এসে খেয়ে ফেললে। ভগবান সেইরকম কল্পতরু। যে তাঁর সামনে নিজেকে অভাগা বা গরীব ভাবে সে সেইরকম থাকে। কিন্তু যে ভাবে ও বিশ্বাস করে ভগবান তার ইচ্ছা পূর্ণ করবেন, তার ইচ্ছাও সত্যি সত্যি পূর্ণ হয়।’ বিশদ

01st  January, 2021
সাধু সাবধান
ব্রাত্য বসু

সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুন হয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে, তাঁর রাজেশ্বরীনগরের বাড়ির ঠিক সামনে। তারিখটা ছিল ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। সন্ধ্যা আটটা নাগাদ। গৌরীর বাবা ছিলেন কন্নড় সাহিত্যের প্রখ্যাত লেখক, কবি, নাটককার পাল্যা লঙ্কেশ, যিনি একইসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন আবার সাহিত্যরচনার জন্য সাহিত্যে আকাদেমি পুরস্কার পান। বিশদ

31st  December, 2020
নরেন গুলের সন্দেশ
সন্দীপন বিশ্বাস 

যন্ত্রণার একটা বছর কেটে যাচ্ছে। আমরা মুখোমুখি আর একটা নতুন বছরের। যেভাবে বছরটা কাটল, এখনও ভাবলে যেন গায়ে কাঁটা দেয়। এখনও যদিও আমরা নিরাপদ আবহে প্রবেশ করতে পারিনি, তবুও অনেকটা সামলে উঠেছি বলা যায়। এই সময়ের মধ্যে বিষাদের পংক্তিতে ভরে গিয়েছে আমাদের হিসাবের খাতা। সালতামামি কষতে গেলে দেখা যায়, বিয়োগফল শূন্য। তবুও আমাদের সমুখ পানেই হাঁটতে হয়, নতুন আশায় বুক বাঁধতে হয়।  
বিশদ

30th  December, 2020
বিশের অবসান, মোদিজির
একুশের বাংলা রাজনীতি

শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভাবছেন, বাঙালি ভোটারদের সঙ্গে তিনি দারুণ কানেক্ট করছেন। কিন্তু ‘ও রে গ্রহবাসী’ বললে বাঙালির গৃহবাসীরা যে তাঁকে মাথায় তুলে নাচবে না, এই সত্যিটা কেউ তাঁকে বোঝায়নি। বিশদ

29th  December, 2020
সার্বিকভাবে বিরাট ক্ষত রেখে যাচ্ছে ২০২০
পি চিদম্বরম 

ঈশ্বরের কৃপায় ২০২০ সাল অন্তিম লগ্নে চলে আসছে। প্রতিটা দেশের উপর আঘাত নেমে এসেছে এবং কিছু দেশের একেবারে ভগ্নদশা। কোভিড-১৯ বিদায় হয়নি, তবে তার চোখ রাঙানি কমেছে, এবং ভ্যাকসিন বণ্টনের উদ্যোগটা আমাদের আশান্বিত করে তুলছে। ভারত সম্পর্কে যতটা বুঝি, আমাদের অর্থনীতির ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন এবং যাঁদের স্থায়ী চাকরি-বাকরি চলে গিয়েছে। 
বিশদ

28th  December, 2020
নীল বিজেপি বনাম গেরুয়া
বিজেপি, নরকগুলজার শুরু

হিমাংশু সিংহ

যাঁরা আজ তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করছেন, তাঁরাই কাল বাদে পরশু বিজেপির সঙ্গেও সেই একই খেলা যে খেলবেন না, তার নিশ্চয়তা কোথায়! বিশ্বাসঘাতকদের ‘পিছন থেকে ছুরি মারা’ চরিত্রের সহজে বদল হয় না। তাঁদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আকাশছোঁয়া। বিশদ

27th  December, 2020
প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ ও কিছু অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার ৩৭৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ড আট উইকেট খুইয়ে তুলেছে ১৩২ রান। ব্যাট করছেন ইংল্যান্ডের নিয়াম প্ল্যাঙ্কেট। এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন। আম্পায়ার আলিম দার আঙুল তুলে জানিয়ে দিলেন, আউট। ইংল্যান্ড রিভিউ চাইল। তখনই নামল বৃষ্টি। বিশদ

26th  December, 2020
নরেন্দ্র মোদিকে কীভাবে মনে
রাখবে আগামী ভারত?
সমৃদ্ধ দত্ত

ক্রমাগত বেশি বললে কথার গুরুত্ব হারিয়ে যায়। কিছু কালজয়ী সিদ্ধান্ত নিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমরা সকলেই আশায় আছি। শুধু‌ই ঩হেডলাইন ম্যানেজমেন্ট স্বল্পস্থায়ী হয়। দীর্ঘস্থায়ী কিছু করে যান মোদিজি। নচেৎ ২০৪০ সালে আপনার পরিচয় হবে নিছকই একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

25th  December, 2020
অটলজির সঙ্কল্পে
অটল মোদিজি
কৈলাস বিজয়বর্গীয়

সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের কারণেই অটলবিহারী বাজপেয়িকে আমরা কেবলমাত্র জয়ন্তী ও পুণ্যতিথিতে স্মরণ করি না; বরং তাঁর কর্মকাণ্ড আমাদের সকল কাজের প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। বিশদ

25th  December, 2020
এগিয়ে আসতে হবে বামপন্থীদেরই
সুজন চক্রবর্তী

উন্নত, দৃঢ় মতাদর্শ ছাড়া বিজেপিকে ঠেকানো সম্ভব নয়। পারবে না তৃণমূল। বস্তুত তৃণমূল নিজেই এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। বাম-গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ সমস্ত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করেই ঠেকাতে হবে। নেতৃত্ব দিতে হবে বামপন্থীদেরই। বিশদ

24th  December, 2020
একনজরে
সংস্কার না হলে রাস্তা কেটে প্রতিবাদ জানানো হবে। পোস্টারে এমনই হুমকি দিল এসইউসি। কুলপি রোড, জয়নগর-জামতলা রোড, জামতলা-হেরোভাঙা রাস্তা, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে মেরামত করা না হলে নেওয়া হবে চরম পদক্ষেপ। ...

ধন্দ কাটিয়ে নতুন বছরের প্রথম মাস জুড়ে চলবে শ্রমিক মেলা। শনিবার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের খাসতালুক আসানসোলে এই কর্মকাণ্ডের সূচনা হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিগত বছরগুলিতেও এই প্রথা চালু রেখেছিল। ...

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির জন্য প্রথমবার মুম্বই সিনিয়র দলে সুযোগ পেলেন অর্জুন তেন্ডুলকর। ২২ জনের স্কোয়াডে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে শচীন পুত্রকে। ...

ফ্ল্যাটের বেআইনি নির্মাণ ভাঙা বন্ধ করা নিয়ে আদালতে জোর ধাক্কা খেলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। বেআইনি নির্মাণ ভাঙা বন্ধ করা নিয়ে তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৯৬ - লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি উড়োজাহাজ চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
১৯৫৬- আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আইফেল টাওয়ারের একাংশ।
১৯৫৬- অভিনেতা মেল গিবসনের জন্ম।
১৯৬৯- ফর্মুলা ওয়ান রেসের চালক মাইকেল শ্যুমাখারের জন্ম।
২০১০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক মতি নন্দী প্রয়াত।
২০১১ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সুচিত্রা মিত্র প্রয়াত।
২০১৯ -  বিশিষ্ট কবি, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার দিব্যেন্দু পালিত প্রয়াত।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৩৮ টাকা ৭৪.০৯ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০০ টাকা ১০১.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৮.৪১ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৩৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,০৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ পৌষ, ১৪২৭, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০২১, চতুর্থী ৫/৪ দিবা ৮/২৩। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৫৮ রাত্রি ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৬/২১/১৯, সূর্যাস্ত ৫/০/৪১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪১ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২০ গতে ১/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২০ গতে ৩/১ মধ্যে। 
১৮ পৌষ, ১৪২৭, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০২১, চতুর্থী দিবা ৭/৫৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৮/২। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৩ গতে ১/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। 
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। বৃষ:  ব্যবসায়ীদের জন্য শুভ সময়। মিথুন: উচ্চশিক্ষালাভের সুযোগ। কর্কট: নানা উপায়ে ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৪৯৬ - লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি উড়োজাহাজ চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্টকে ২-০ গোলে হারাল মোহন বাগান 

09:31:13 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ২ নর্থ ইস্ট ০ (৫৬ মিনিট) 

08:51:49 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ১ নর্থ ইস্ট ০ (৫০ মিনিট) 

08:45:32 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ০ নর্থ ইস্ট ০ (হাফটাইম) 

08:25:22 PM