আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই বেসরকারি পার্কে ৩১ ডিসেম্বর রাতভর ডিজে বাজিয়ে অনুষ্ঠান চালানো হয়। সেকারণে ওই পার্ক লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হন। শুক্রবার সকাল থেকে পার্কে ভিড় উপচে পড়ে। পার্কের গাড়ি রাখার জায়গা ভরে যায়। এরপর পার্কে আসা মানুষ গ্রামের রাস্তার উপর গাড়ি পার্ক করেন। ফলে গ্রামে ঢোকা ও বের হওয়ার মূল রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। রাস্তার উপর গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে পিকনিক পার্টির সঙ্গে প্রথমে গ্রামবাসীদের ঝামেলা শুরু হয়। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসীরা গ্রামের ভিতরে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। এরফলে পিকনিক পার্টির গাড়ি আটকে যায়। এই নিয়ে ফের ঝামেলা শুরু হলে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে ওই পার্কে ঢুকে হামলা চালান। পার্কের মধ্যে দেদার ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে নৈহাটি থানা থেকে বড় পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উত্তেজিত বাসিন্দারা পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবিলম্বে ওই পার্ক বন্ধ করার দাবি জানান গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে বচসার সময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিসের সঙ্গে গ্রামবাসীদের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিস বেধড়ক লাঠিচার্জ করে এবং চার গ্রামবাসীকে আটক করে। এর ফলে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীরা পিকনিক পার্টির একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর করার পাশাপাশি পুলিসের গাড়িতে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। দ্বিতীয় দফায় পার্কে ঢুকে ফের ভাঙচুর চালানো হয়। পরে নৈহাটি থানা থেকে প্রচুর পুলিস কর্মী ও র্যাফ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আটক গ্রামবাসীদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়। পার্ক কর্তৃপক্ষের তরফে এনামুল মণ্ডল বলেন, পার্কে তিন হাজার মানুষের আনন্দ করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার কয়েক গুণ বেশি মানুষ আসায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কমিশনারেটের এক পুলিস আধিকারিক বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকায় একটি কমিটি তৈরির কথা বলা হয়েছে। যতদিন সমস্যার সমাধান না হচ্ছে, ততদিন পার্ক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।