আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের প্রথম দিন থেকে নতুন নিরাপত্তা সংস্থা ও বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব টেন্ডার গ্রহণ করেছেন। তার জন্য শনি ও রবিবার শান্তিনিকেতনের পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে তাদের নিজস্ব ডাক্তার দিয়ে বর্তমানে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীদের শারীরিক পরীক্ষার কথা। কিন্তু এতেই বেঁকে বসেন ওই নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নতুনদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে প্রায় ৫০ জন নিরাপত্তারক্ষীকে বাদ দেওয়ার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরে থেকে ডাক্তার এনে বাতিল করার চক্রান্ত চালাচ্ছে এই সংস্থা। নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন, নতুন নিরাপত্তা সংস্থা পাঁচ পাতার ফর্ম দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা, পুলিস ভেরিফিকেশন, দৈহিক মাপজোক, বৈধ কাগজপত্র প্রভৃতি দেখাতে বলে। কিন্তু এখানে অনেক নিরাপত্তারক্ষী আছেন, যাঁরা প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি বছর ধরে বিশ্বভারতীর বেসরকারি নিরাপত্তার কাজে যুক্ত। এখন শারীরিক অক্ষমতার অজুহাত দেখিয়ে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। বাদ দেওয়ার ফলে প্রথমেই দেওয়া হল না কেন? বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা যখন বেসরকারিকরণ হয়েছিল, তখন শারীরিক সক্ষমতার যোগ্যতার ভিত্তিতেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমরা কর্মরত। ৪০ বছর যে নিরাপত্তাকর্মীর বয়স, তাঁর পরিবারের কী হবে? একথা নতুন সংস্থার ভাবা উচিত। এরই প্রতিবাদে নতুন সংস্থার আধিকারিক ও ডাক্তারদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান নিরাপত্তারক্ষীরা। নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্য, শূন্যপদে নতুনদের নিয়োগ করলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে কোনও পুরনো নিরাপত্তারক্ষীকে বাদ দেওয়া যাবে না। যদি তা হয়, আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলন নামব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে ঘন্টাখানেক আটক রাখার পর ওই আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিলে নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভ তুলে নেন। যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।