আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
স্থানীয় বিজেপি নেতা অনুপ পাল বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ময়নাগুড়ির রবিতীর্থ ভবন ভেঙে পড়ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের যে, ময়নাগুড়ির অন্যতম সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র এভাবে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথের মূর্তিও চরম অবহেলায় এখানে পড়ে রয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন বলেন, ৩১ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের বৈঠক আছে। ওই বৈঠকে আমরা রবিতীর্থ ভবন নিয়ে আলোচনা করব। ভবনটির সংস্কার করে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটা নিয়ে পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব।
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সজলকুমার বিশ্বাস বলেন, ভবনটি একেবারেই বেহাল অবস্থা আছে। আমরা জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। আমরাও চাই, জেলা পরিষদ ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করুক।
ময়নাগুড়ির বাবুপাড়ায় রবিতীর্থ ভবন একসময় ব্লকের বাসিন্দাদের গর্ব ছিল। জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের অধীনে ভবনটি রয়েছে। ব্লকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখানেই হতো। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে এটির ভগ্নদশা হয়েছে। দ্বিতল ভবনটি ২০১১ সালে বানানো হয়েছিল। প্রায় ৭০০ জন বসে অনুষ্ঠান দেখতে পারতেন। শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই নয়, এখানে একসময়ে সামাজিক অনুষ্ঠানও হতো। কিন্তু দিন দিন ভবনটির যা পরিস্থিতি হয়েছে তাতে কোনও ধরনের অনুষ্ঠান করাই সম্ভব নয়। বছর দু’য়েক ধরে ভবনটি আর ব্যবহার করা হচ্ছে না।
রবিতীর্থ ভবনে ঢোকার মুখেই আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। সেটিও বহুদিন ধরে চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে। ভবনটির চারপাশের যা অবস্থা তা দেখলে মনে হবে ভূতুড়ে সিনেমার কোনও বাংলো। চারদিক আগাছায় ভরে আছে। দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। রাতে আলো জ্বলছে না। জলের ব্যবস্থাও এখন আর নেই। পড়ে থেকে হলের মিউজিক সিস্টেম খারাপ হয়ে গিয়েছে। মঞ্চের পর্দায় ধুলো জমে কালো হয়ে আছে। ফসল সিলিং ভেঙে পড়ছে। একসময় এই ভবনেই সিনেমা হল চালানোর পরিকল্পনা করেছিল জেলা পরিষদ। কিন্তু সেটা আর পরবর্তীতে হয়নি। নিজস্ব চিত্র