আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
চলতি সপ্তাহেরই সোম এবং মঙ্গলবার ইংলিশবাজার শহরের রথবাড়ি ও মালঞ্চপল্লী এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় পরপর দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দু’টি ঘটনার পর থেকে যান নিয়ন্ত্রণে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এব্যাপারে মালদহ ট্রাফিকের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিটুল পাল বলেন, দুর্ঘটনা দু’টি ঘটার সময় শহরের মধ্যে জাতীয় সড়কে তেমন যানজট ছিল না। ফলে ঘাতক গাড়ি দুটি পালাতে সক্ষম হয়। তবে দিনেরবেলা দুই শহরেই যানজট লেগে থাকছে। টোটো সহ অন্যান্য যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলের কারণে সমস্যা হচ্ছে। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন শীতকাল। তাই অনেক সময় কুয়াশার কারণে জাতীয় সড়কে যানবাহনের গতি শ্লথ হচ্ছে। তারফলেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস চালু হতে অনেক দেরি হয়। বাইপাস সময় মতো চালু না হওয়ায় গতবছর বিষয়টি নিয়ে জেলায় আন্দোলনও হয়েছিল। ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কর্তারা দফায় দফায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন। চাপে পড়ে সড়ক নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থা কাজে গতি আনে। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বাইপাস চালু হয়। সেটি চালু হওয়ার পর প্রথম দিকে একধাক্কায় জেলার দুই শহরের রাস্তায় যানজট অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু পরে বাইপাস এড়িয়ে একাধিক পণ্যবাহী গাড়িকে শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক ধরেই চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। যাত্রীবাহি গাড়িগুলিও শহর হয়েই চলাচল করে। ফলে শহরে গাড়ির চাপ সেই বাড়ছেই। ইংলিশবাজার শহরের রথবাড়ি ও ৪২০ মোড়ে চারদিক থেকে যানবাহন আসে। ফলে ওই দুই এলাকায় মাঝেমধ্যেই যানজট এবং ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
এদিকে, পুরাতন মালদহ শহরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে যানজট কমছে না। চৌরঙ্গী মোড় থেকে নলডুবি রেলগেট পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে বলে অভিযোগ। গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কের দু’ধারে বেশ কিছু গ্যারেজ রয়েছে। সেখানে অনেক সময়েই জাতীয় সড়কের উপরেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে সারাই করা হয়। ফলে জাতীয় সড়ক সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। সড়কের ধারে আবার ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এফসিআইয়ের গোডাউন রয়েছে। সেখানেও প্রতিদিন বহু মালবাহী গাড়ি আসে।
সেগুলিও জাতীয় সড়কের উপরেই অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকে। সকাল-বিকেল যানজটে নাভিশ্বাস উঠে যায় পথচারী ও গাড়িচালকদের। একবার যানজট বেঁধে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিস ও ট্রাফিক বিভাগের কালঘাম ছুটে যায়। বেআইনি পার্কিং নিয়ে বাসিন্দারা সরব হলেও পুলিস ও প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।