শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
শিলিগুড়ির রেল পুলিসের সুপার অঞ্জলি সিং বলেন, গুরুতর জখম ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েদের রেললাইন থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ওই ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি।
শিলিগুড়ি শহরের প্রধাননগর থানা এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়ি। সোমবার রাতে করোনায় স্বামীর মৃত্যু হওয়ার পর এদিন সকালে দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান ওই গৃহবধূ। বেলা দেড়টা নাগাদ এনজেপি স্টেশনের রেললাইনের ধার থেকে রেল পুলিস তাঁদেরকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রথমে তাঁদেরকে মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের মেডিক্যালে রেফার করা হয়।
জিআরপি ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অন্যান্য দিনের মতো এদিন দুপুরে স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন যাত্রীদের জটলা ছিল। সন্তানদের কোলে নিয়ে ওই মহিলাকেও কয়েকজন প্লাটফর্মে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। বেলা দেড়টা নাগাদ প্লাটফর্ম থেকে ত্রিপুরা-দিল্লি এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার পরই রেল লাইনের ধারে তাঁদেরকে পড়ে থাকতে দেখেন অন্যরা। ওই মহিলার বয়স ৩৫ বছরের আশপাশে। মেয়েদের মধ্যে একজনের বয়স তিন, আরএকজনের বয়স পাঁচবছর। মহিলা ও তাঁর মেয়েরা হাত, পা ও মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর রেল পুলিসের একাংশের সন্দেহ, স্বামীর মৃত্যুতে অবসাদগ্রস্ত হয়েই ওই মহিলা মেয়েদের নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। ওই শিক্ষক পরিবারের ঘনিষ্ঠদেরও বক্তব্য, স্বামীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন সমস্যা আশঙ্কা করে ওই মহিলা ভেঙে পড়েছিলেন। সম্ভবত সেইজন্যই মেয়েদের নিয়ে তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
জিআরপির এনজেপি স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি ননীগোপাল দত্ত অবশ্য বলেন, ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েরা কীভাবে ত্রিপুরা-দিল্লি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় জখম হলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়েদের নিয়ে ওই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কি না তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথাও হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলা হবে।
উল্লেখ্য, ওই মহিলার স্বামী খড়িবাড়ি ব্লকের রামজনম প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। তাঁর বয়স ৩৬ বছর। স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জ্বর, সার্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় গত ২ জুলাই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন ওই শিক্ষক। ৩ জুলাই তাঁর সোয়াবের নমুন সংগ্রহ করে মেডিক্যালের ভিআরডিএলে পাঠানো হয়। ৬ জুলাই সন্ধ্যায় তাঁর সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। ওই দিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন তাঁর মৃতদেহ সৎকার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক অম্বুজকুমার রায় বলেন, সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট সময়মতো না আসায় ওই শিক্ষক কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। তবে ওই শিক্ষকের সোয়াব টেস্টে করোনা পজিটিভ হওয়ার পরই তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।