গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
রাজনীতিতে নতুন মুখ রায়হান। মোথাবাড়ির তোফিগ্রামে তাঁর বাড়ি। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ইতিমধ্যে তিনি সাংবাদিকতা ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে এমএ করেছেন। দু’মাস আগেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে তৃণমূলের টিকিটে ভোটের ময়দানে নামেন তিনি। এদিন সকালে মোথাবাড়িতে নিজের বুথে ভোট দানের পর তিনি বৈষ্ণবনগর, ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুজাপুর, মানিকচক ও ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্র চষে বেড়ান। তাঁর পরনে ছিল সাদা পায়জামা, পাঞ্জাবী। কোথাও বুথে গিয়ে দলীয় এজেন্টদের কাছ থেকে ভোটের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ নেন। ভোটকর্মী ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। বুথের বাইরে দলীয় ক্যাম্প অফিসে বসেও সময় কাটান তিনি। কর্মীদের সঙ্গে মুড়ি ও চা খেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকী, সুজাপুরে আক্রান্ত বুথ এজেন্টদের কাছেও ছুটে যান রায়হান। সেখানে প্রতিবাদ জানানোর পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এরই মাঝে তৃণমূল প্রার্থী গানের কলি দিয়ে বলেন, বাতাসে বহিছে প্রেম….। ভোটের ময়দানে নেমে সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক ভালোবাসা, আশীর্বাদ পেয়েছি। আবহাওয়া অনুকূল ছিল। তৃণমূল কর্মীরা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। কাজেই আমার জয় এখন সময়ের অপেক্ষা।
একই সঙ্গে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, সুজাপুরের গয়েশপুরে বুথ দখলের চেষ্টা করে কংগ্রেস। বাধা দিলে তৃণমূলের দুই এজেন্টকে মারধর করা হয়। নির্বাচনে হার বুঝতে পেরেই এমন আচরণ করেছে কংগ্রেস। বিজেপি বাঙালী বিরোধী দল। ওরাও দুর্বল প্রতিপক্ষ। এখন মানুষ আমাদের সঙ্গে।
অন্যদিকে, রাজনীতির ময়দানে পরিচিত মুখ ঈশা খান। তিনি মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর পুত্র। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এবিএ গনিখান চৌধুরীর ভাইপো। কোতোয়ালিতে বাড়ি। তিনি সুজাপুর ও বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক। এদিন সকালে বাবা আবু হাসেম খান চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে কোতোয়ালিতে নিজের বুথে ভোট দেন ঈশা। তাঁর পরনে ছিল সাদা পায়জামা ও পাঞ্জাবী। এরপর তিনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান ভোটের ময়দানে। ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুজাপুর, মোথাবাড়ি, মানিকচক, ইংলিশবাজার সহ প্রতিটি কেন্দ্রেই ঘুরেছেন। কোথাও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বুথে যান। চলার পথে গ্রামবাসী ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে হাওয়া বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগও করেছেন তিনি।
কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, তৃণমূল নির্বাচনে হারছে বুঝতে পেরে কখনও রাহুল গান্ধী, আবার কখনও ডালুবাবুর (আবু হাসমে খান চৌধুরী) নামে অপপ্রচার করছে। ওদের এমন কার্যকলাপ থেকেই স্পষ্ট এখানে কংগ্রেস এক নম্বরে থাকবে। তাছাড়া, দু’মাস ধরে প্রচার চালিয়ে আমজনতার কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তাই জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত।