কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
আগামী এপ্রিল মাসে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বেশকিছু পুরসভায় ভোট সংগঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রশাসন এব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই অবস্থায় শিলিগুড়ি পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার উদ্যোগ নিয়েছে সিপিএম। দু’পক্ষের শীর্ষ নেতারা পাঁচ-ছ’বার বৈঠকও করেছেন। সোমবার রাতে শিলিগুড়ি শহরের পিডব্লুডি বাংলোতে উভয়দলের নেতারা ফের বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁরা আসন রফা চূড়ান্ত করতে পারেননি।
শিলিগুড়ি পুরসভার মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৪৭টি। গতবার সিপিএম ২১টি, আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লক একটি করে ওয়ার্ড জয় লাভ করে। অর্থাৎ বামফ্রন্ট দখল করে ২৩টি ওয়ার্ড। আর কংগ্রেস কব্জা করে চারটি ওয়ার্ড। উভয়পক্ষের জেতা ২৭টি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে বাকি ২০টি ওয়ার্ড নিয়ে আসন রফা করা হবে। সংশ্লিষ্ট ২০টির মধ্যে অধিকাংশই দাবি করছে কংগ্রেস। এমনকী তারা সিপিএমের জেতা ওয়ার্ডেও লড়াই করার জন্য দরকষাকষি করছে। এনিয়ে জোটের আসন রফা নিয়ে জট পাকিয়েছে। শুধু তাই নয়, বামফ্রন্ট শরিকদের মধ্যেও আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এবার সিপিআই ১৫ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে লড়তে চাইছে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড সিপিআইয়ের পক্ষে গেলেও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। সেই ওয়ার্ড সিপিএম ও কংগ্রেস উভয়পক্ষই দাবি করছে। রবিবার সন্ধ্যায় সিপিএম ও সিপিআই নেতারা বৈঠক করেও ওই সমস্যা মেটাতে পারেনি।
সিপিআইয়ের দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লক্ষ্মী মাহাত বলেন, জোটের প্রাথমিক শর্ত না মেনে কংগ্রেস অস্বাভাবিক আসনের দাবি করছে। এজন্য কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। আলোচনা করে তা মেটানোর চেষ্টা চলছে। কংগ্রেস নেতারা অবশ্য বলেন, গত পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল ও বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালোচনার মাধ্যমে আসন ভাগাভাগি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনও জটিলতা নেই। শীঘ্রই আসন রফা হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একইরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে আলিপুরদুয়ার শহরেও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ওই শহরে সিপিআই দু’টি ওয়ার্ডে এবং কংগ্রেস সাতটি ওয়ার্ডে লড়াই করতে চাইছে। এরজেরে এখানেও জটিলতার মেঘ কাটেনি। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সামান্য সমস্যা আছে। ২৮ তারিখের পর ফের আলোচনা করে তা মিটিয়ে নেওয়া হবে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি গজেন বর্মনেরও বক্তব্য একইরকম। তবে কোচবিহার জেলায় জোটের অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও জেলার তুফানগঞ্জ ও মাথাভাঙা পুরসভায় বামফ্রন্ট শরিকদের মধ্যেই এখনও আসন রফা চূড়ান্ত হয়নি।