কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
পুরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের ১৩৯টি বুথের সক্রিয় কর্মী, শহর কমিটি ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বকে নিয়ে রবীন্দ্রভবনে কর্মী বৈঠক করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি ছাড়াও মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, শহর নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান শম্পা দরিপা ও আহ্বায়ক অরূপ চক্রবর্তী সহ বাঁকুড়া শহরের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, দল কাকে প্রার্থী করবে, তা নেত্রী ছাড়া কেউ জানেন না। তবে তিনি সব খবর রাখেন। তাছাড়া দলের নিযুক্ত এজেন্সি, সংবাদ মাধ্যম, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে নবান্নে খবর যাচ্ছে। আপনাদের কাজের খতিয়ান, সুনাম ও জনসংযোগের রিপোর্ট কার্ড দেখেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপরেই শুভেন্দুবাবু বলেন, এপ্রিলেই নির্বাচন হবে। তাই দল না বললেও আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এখনই প্রতিটি ওয়ার্ডে আলোচনার মাধ্যমে সাম্ভাব্য তিনজন প্রার্থীর নাম ঠিক করে বায়োডাটা সহ জেলা নেতৃত্বের কাছে জমা দিন। তবে সংরক্ষিত আসনগুলির ক্ষেত্রে শংসাপত্রের বিষয়টি আগে দেখে নেবেন।
তিনি বলেন, পাঁচ বছরে এই পুরসভায় প্রচুর কাজ হয়েছে। দ্রুত সেই কাজের একটি তালিকা তৈরি করে প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দিন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের হাতে কাজের খতিয়ান তুলে দিয়ে বলুন, আমরা পাঁচ বছরে আপনাদের জন্য এগুলো করতে পেরেছি। আর যেগুলো পরিনি, তা আগামীদিনে করব। প্রচারের পতাকা, ফেস্টুন লাগিয়ে হইচই করার পরিবর্তে বিনয়ী হোন। তাতে মানুষ আপনার কার্যকলাপে দলকে ভুল বুঝবে না। আপনি ক্ষমতায় আছেন বলে কারও রং করা দেওয়ালে জোর করে লিখতে যাবেন না। আগে অনুমতি নিন, তারপর কারও দেওয়ালে প্রচারের কথা ভাববেন। এটা মনে রাখবেন, জোর করে একটা দেওয়াল লিখলে শাসক দলের লোক বলে ভয়ে আপনাকে মুখের সামনে কিছু বলতে পারবেন না। কিন্তু, মানুষ অসন্তুষ্ট হন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, মার্চ মাসের বেশিরভাগ দিন পরীক্ষার জন্য মাইক ব্যবহার করা যাবে না। এই সুযোগে পাড়া বৈঠক করুন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। পাড়ায় গিয়ে ক্লাব, চায়ের দোকানে মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিন। সরকার বা পুরসভার কাজের কথা আলোচনার সময় তুলে ধরুন। ভোটার লিস্ট পাওয়ার পরেই ওয়ার্ডের প্রতিটি বুথে নির্বাচনী কার্যালয় খুলে কোন ধরনের পেশার কতজন মানুষ আছেন, তাঁদের মধ্যে কারা আমাদের পক্ষে, কারা বিপক্ষে রয়েছেন তার তালিকা তৈরি করুন। কেন তাঁরা বিপক্ষে রয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা করুন। তাঁদের ক্ষোভের কথা জেনে নিজেদের অনুকুলে আনার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজে মুগ্ধ হয়ে আমরা যাতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাই মানুষ সেজন্য লাইন দিয়ে ভোট দেবেন।