কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
দোমোহনির বাসিন্দা অমলচন্দ্র রায় বলেন, সোমবার সকালে আমাদের এলাকার নদী সংলগ্ন একটি চা বাগানে একটি বিশাল আকারের চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কিছুদিন আগে হেলাপাকড়িতে চিতাবাঘ বেরিয়েছিল। আমরা তখন থেকেই সতর্ক ছিলাম। এদিন অনেকেই ওই বাঘটি দেখেন। আমরা প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছি। বনদপ্তরকে জানানো হয়েছে। আমরা চাইব, দ্রুত বাঘটি ধরা পড়ুক।
আরেক বাসিন্দা দীনেশচন্দ্র রায় বলেন, দোমোহনি নদীর পাশে চা বাগান রয়েছে। এদিন ওই বাগানে সুভাষ রায় কাজ করতে যাওয়ার সময় চিতাবাঘ দেখতে পান। তিনি জানিয়েছেন, বাঘটি নদী পেরিয়ে বাগানের ঢুকছে। পরে সেখানকারই দু’জন যুবক বাগানের নালায় চিতাবাঘ দেখতে পান। ওদের হাতে লাঠি ছিল। তাই এদিন বাঘটি হামলা করেছি। আমরা বনদপ্তরকে এলাকায় খাঁচার পাততে অনুরোধ করেছি। চিতাবাঘের ভয়ে এখন চা বাগানের দিকে যেতেই লোকজন ভয় পাচ্ছেন।
রামশাই মোবাইল পেট্রোলিং পার্টির রেঞ্জার বিশ্বজ্যোতি দে বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে চিতাবাঘের আতঙ্কের খবর আমাদের কাছে আসছে। তবে সেটি বনবিড়ালও হতে পারে। আমরা সবজায়গাতেই টিম পাঠাচ্ছি। সকলকে বলব, অযথা উত্তেজিত না হতে। ময়নাগুড়ি ব্লকের তিন জায়গায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাসিন্দাদের পটকা দিয়ে এসেছি। কোথাও গবাদিপশু খুবলে খাওয়া মৃতদেহ মিললে আমাদের জানাতে বলেছি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরেই ময়নাগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হেলাপাকড়িতে একটি চিতাবাঘ গত শুক্রবার তিনজনকে কামড়ে ঘায়েল করে। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও চিতাবাঘটিকে খুঁজে পায়নি। সেখানে চিতাবাঘ খুঁজতে বনদপ্তর ড্রোন উড়িছিল। পরবর্তীতে বালাসন এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এবার দোমহনিতে চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে বলে বাসিন্দারা দাবি করেন।