কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল সেকেন্ডারি টির্চাস অ্যাসোসিয়েশনের জলপাইগুড়ি জেলার আহ্বায়ক অঞ্জন দাস বলেন, পুর নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে যিনি ভোটে লড়বেন তিনিই আমাদের প্রার্থী। জোড়াফুল প্রতীকে দাঁড়ানো প্রার্থীকে ভোটে জেতানোর জন্যই আমরা বাড়ি বাড়ি প্রচারে নামছি। জলপাইগুড়ি ও মাল পুরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন শিক্ষককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই শিক্ষকের নেতৃত্বে ওই ওয়ার্ডে বসবাসকারী শিক্ষকরা দলের হয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করবেন। জলপাইগুড়ি পুরসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য কোর কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি ও মাল পুরসভার চূড়ান্ত আসন সংরক্ষণ তালিকা ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন দপ্তর প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই পুরোদমে পুরভোটের দামামা বেজে যাবে। তার আগেই জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। পুরনির্বাচনে নিজেদের হয়ে প্রচারে জন্য শিক্ষকদের তারা মাঠে নামাচ্ছে। এজন্য রীতিমতো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মত, সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে পরাজিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি হাওয়ায় কার্যত খড়কুটোর মত উড়ে যায় বাম ও কংগ্রেসও। পুরসভায় কাউন্সিলার না থাকলেও প্রতিটি ওয়ার্ডে তারাই এগিয়ে যায়। পুর এলাকায় সরকারি কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের বসবাস বেশি। স্থানীয় স্তরে উন্নয়নকেই গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করবে শাসক দল। সেক্ষেত্রে প্রথমেই শিক্ষকদের মাঠে নামিয়ে অনেকটাই বাজিমাত করতে চাইছে তারা।
স্কুলগুলিতে সবুজসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সাইকেল বিলি করছে রাজ্য সরকার। মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী করা হয়েছে। মেয়ের বিয়ে জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। তফসিলি জাতি, উপজাতি, সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই প্রকল্পগুলি ছাড়াও সাধারণ মানুষের জন্য নানান প্রকল্প রাজ্য সরকার করেছে। রাজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি পুরসভার সাফল্যগুলি নিয়েও শিক্ষকরা প্রচার করবেন।