কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি সচিন মক্কর বলেন, চোরাই বাইক বাংলাদেশে পাচার হয় এমন কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাই বাইক বিক্রি হয়। বিহারের একাধিক ক্রিমিনাল গ্যাং বিহারে বাইক চুরি করে এখানে সেগুলি নিয়ে এসে বিক্রি করে। আবার এখানে বাইক চুরি করে বিহারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে।
পুলিস সূত্রেই জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় চোরাই বাইক খরিদ করার একটি চক্র সক্রিয় আছে। এরা কখনও বাইকের নাম্বার প্লেট বদলে সেগুলি গ্রাম এলাকায় চালায়। কখনও বা বাইকে যন্ত্রাংশ খুলে ইঞ্জিন বাংলাদেশে পাচার করে দেয়। সীমান্ত এলাকায় গোরু পাচার, ফেন্সিডিল পাচারের মতো ঘটনা এর আগে বহু বার ঘটেছে। সেই পথেই একই কায়দায় বাইকের ইঞ্জিনও পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার ইসলামপুর থানার পুলিস অভিযান চালিয়ে বাইক চুরি ও পাচার কাণ্ডে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি চোরাই বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে করণদিঘি থানা এলাকার তিন বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার একদিন পরে পুলিস মাটিকুন্ডায় অভিযান চালিয়ে মাটিকুন্ডা ও সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা চোরাই বাইক খরিদ করে।
চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, ডালখোলা থানা এলাকায় এর আগেও বহুবার বাইক চুরির অভিযোগ উঠেছে। কিছু ক্ষেত্রে পুলিস দুষ্কুতীদের গ্রেপ্তার ও বাইক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন সময় পুলিসের জালে বিহারের বাইক চোর গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেক সময় আবার স্থানীয় চোররাও গ্রেপ্তার হয়েছে। এই চোরেদের সঙ্গে চোরাই বাইকের খরিদ্দার ও গ্যারেজের মিস্ত্রীদের একাংশের যোগ থাকে। গ্যারেজ থেকেও অনেক সময় চোরাই বাইক উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। বাইক চুরির পরে অনেক সময়ে গ্যারেজে বাইকের যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা করে খুলে ফেলে তারপর বিক্রি করা হয়। ইঞ্জিন চলে যায় বাংলাদেশে। ইসলামপুর পুলিস জেলার একদিকে বিহার ও অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত। বিহার লাগোয়া এলাকা হওয়ায় এই এলাকায় বিহার থেকে অনায়াসে দুষ্কৃতীরা আসা যাওয়া করতে পারে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বাংলাদেশে এই দেশের বাইকের ইঞ্জিনের প্রচুর চাহিদা আছে। ইঞ্জিনগুলিকে ভুটভুটিতে ব্যবহার করেন সেখানকার মৎস্যজীবীরা।