কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ মার্চ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করবেন। সেজন্য বীরভূম জেলা থেকেও প্রায় হাজারখানেক জনপ্রতিনিধির যাওয়ার কথা। এদিন জেলার সমস্ত পুরসভার কাউন্সিলারদের পাশাপাশি অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের বোলপুরে ডেকে সভা করেছেন অনুব্রতবাবু।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের পর সারা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল দিদিকে বলো কর্মসূচি করেছে। গত পাঁচমাস ধরে চলা ওই কর্মসূচির পর এবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলনেত্রী অন্য কোনও কর্মসূচির কথা ঘোষণা করতে পারেন। তাই সেখানে জেলার জনপ্রতিনিধিদের যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভাষণ শোনানো হয়।
এব্যাপারে বৈঠক শেষে অনুব্রতবাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, দলনেত্রী ২ মার্চ সভা করবেন। সেইজন্য জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাদের ডাকা হয়েছে। আমরা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করছি। পুর নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনও চিন্তা নেই। যা উন্নয়ন হয়েছে তা নিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যানরা ভাববেন। পুরসভার ভোট কাউন্সিলার, চেয়ারম্যানরা করবেন। এতে মন্ত্রীরাও যাবেন না। আমরা পঞ্চায়েতেও যাইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাই হাতিয়ার উন্নয়ন। তা দিয়েই ভোট হবে। তবে তিনি বলেন, মানুষ যাঁকে চাইবেন তিনিই কাউন্সিলার হবেন। দলের কোর কমিটির বৈঠক করে প্রার্থী তালিকা ঠিক হবে।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য একটি করে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে। ওই আমন্ত্রণপত্র দেখিয়েই সেখানে ঢুকতে হবে। ২ মার্চ সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যে ঢুকতে বলা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র ছাড়া সেখানে ঢোকা যাবে না। তাই ওই পত্র দেওয়ার জন্যই বৈঠক ডাকা হয়। এদিন জনপ্রতিনিধিদের তা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে থেকে অনুব্রতবাবু বীরভূম জেলার প্রত্যেক ব্লকে নাগরিকত্ব ইস্যুর প্রতিবাদে সভা করছিলেন। কিছু ব্লকে সেই সভা হলেও হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ছবিরানি মণ্ডলের প্রয়াণ হয়। তাঁর মৃত্যুতে অনুব্রতবাবু সহ জেলায় তৃণমূলের অন্দরে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্ত্রী বিয়োগের সেই শোক কাটিয়ে ফের ময়দানে নামতে চলেছেন অনুব্রতবাবু।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকের পরই আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুব্রতবাবু ফের সেই সভাগুলি শুরু করতে চলেছেন। যেসব ব্লকে ওই সভাগুলি অসমাপ্ত ছিল প্রধানত সেইসব জায়গায় ফের সভাগুলি হবে। জেলার আহমদপুর, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, সিউড়ি-১ প্রভৃতি ব্লকে ওই সভাগুলি হবে। এছাড়া পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম-১, ২, আউশগ্রাম-২ ব্লকেও ওই সভা হবে। দলের অনেকেই বলছেন, অনুব্রতবাবু ফের স্বমহিমায় ফিরে সভাগুলি করলে দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হবে।