কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
রায়গঞ্জ রেল স্টেশনের ম্যানেজার রাজু কুমার এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ দু’জনেই বলেন, রাধিকাপুর থেকে নতুন ট্রেন চালানোর কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেটি কবে চালু হবে বা তার সময়সূচী কি সে নিয়ে সরকারিভাবে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, নতুন ট্রেন ২৯ তারিখ থেকে চালু হচ্ছে। কোন ট্রেন, সময়সূচি কী এসব রেল কর্তৃপক্ষ জানাবে। যতদূর জানতে পেরেছি, নতুন ট্রেন চালু হলে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময় কয়েক ঘণ্টা পিছিয়ে যেতে পারে। তবে এনিয়ে চূড়ান্ত যা কিছু তা রেল কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ তারিখ রায়গঞ্জ স্টেশনে নতুন ট্রেন চলাচলের অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। ট্রেনটি দিনের বেলা রাধিকাপুর থেকে ছেড়ে হাওড়া যাবে। এটি সিউড়ি-হাওড়া চলাচলকারী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সম্প্রসারিত রুট। নতুন ট্রেন পেলে তা রাধিকাপুর থেকে কলকাতা অবধি চলার কথা। তবে ট্রেন যাই হোক, দিনের বেলা নতুন ট্রেন চালাতে গেলে বর্তমানে চালু রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচি বদলাতে হবে। এমনটাই আলোচনা শোনা যাচ্ছে। বর্তমানে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেন সন্ধ্যা ৫টা৫০ মিনিট নাগাদ রাধিকাপুর থেকে ছেড়ে ৬টা২৫ মিনিট নাগাদ রায়গঞ্জে আসে। এই সময় পিছিয়ে রাতের দিকে হয়ে যাবে বলে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কলকাতা পৌঁছনোর সময়ও বদলে যাবে। রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি পিছানোর সময় কথা শুনে ব্যবসায়ী মহলের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষ খুশি হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাতে ছাড়লে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে ট্রেন ধরতে পারবেন। সময় ধরে গোছগাছ করে বাড়ি থেকে খেয়েদেয়ে ট্রেনটি ধরা যাবে। কলকাতাতেও ভোর ভোর না নেমে সকালের দিকে নামা যাবে।
তবে ঠিক কোন সময় রাধিকাপুর এক্সপ্রেস চলাচল করবে সেনিয়ে উদ্বেগ কাটছে না বাসিন্দাদের। অনেকেই রাধিকাপুর, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ স্টেশনে এসে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস সময় বদল হচ্ছে কি না, হলে কখন হচ্ছে এসব জানতে চাইছেন। কারণ ওই ট্রেনের উপর যাত্রীদের চাপ অত্যন্ত বেশি। রিজার্ভেশনের জন্য আগে থেকে টিকিট কাটতে হয়। ২৯ তারিখ বা তারপরে রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে কলকাতা যেতে হলে ট্রেনের সময়সূচি জানা অত্যন্ত জরুরি। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী বলেন, রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের ট্রেনের সময় নিয়ে যাত্রীরা বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। ওই ট্রেনের সময় পিছিয়ে দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। ট্রেন দেরি করে ছাড়লে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে, রাতের খাবার খেয়েদেয়ে ট্রেনটি ধরতে পারবেন। যাত্রীদের কথা ভেবে নতুন ট্রেনের টাইম টেবিল এবং রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের সময় দ্রুত নিশ্চিত করা উচিত রেল কর্তৃপক্ষের।