কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক উমেশ শর্মা বলেন, কাজ আর আশ্রয়ের সন্ধানে চিরকালেই মানুষ এসেছেন এই শহরে। শান্তিপ্রিয় এই শহর শিক্ষা, সংস্কৃতির মান অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ১৮৮৫ সালে তিন বর্গ মাইল এলাকা শুরু হওয়া এই শহরে এখন ২৫টি ওয়ার্ড। বর্তমানে শহরের আয়তন ১২.৯৭৫ বর্গ মাইল। জনসংখ্যাও লক্ষাধিক হয়েছে। এই পুরসভা দ্রুত কর্পোরেশনে পরিণত হওয়া প্রয়োজন।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সিপিএমের প্রদীপকুমার দে বলেন, ওই সময়ে তৃণমূলের কর্পোরেশন উপহার দেওয়া শুধুই নির্বাচনী ভাঁওতা প্রচার ছিল। শহরবাসী সবটা বুঝে গিয়েছে। পুরবোর্ডে ক্ষমতায় আসার জন্যই কর্পোরেশনের বুলি ফের একবার তুলেছেন শাসক দলের নেতারা। তাঁরা পুরনির্বাচনেই এর জবাব দেবে। এটা ভোটে আমাদের অন্যতম ইস্যু হবে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কংগ্রেসের অম্লান মুন্সি বলেন, জলপাইগুড়ি পুরসভাকে কর্পোরেশন করার স্বপ্ন দেখিয়ে গত পুরভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। পাঁচবছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও কর্পোরেশন হল না। রাজ্য ও পুরসভায় একই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও কর্পোরেশন তৈরি করতে ব্যর্থ এই বোর্ড। আমরা এনিয়ে মানুষের কাছে যাব।
তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়্যারমান ইন কাউন্সিল পূর্ত সন্দীপ মাহাত বলেন, শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিকে যুক্ত করে কর্পোরেশন তৈরির জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্রস্তাব জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি এলেই কর্পোরেশনে পরিণত হবে জলপাইগুড়ি পুরসভা।
আজকের জলপাইগুড়ি শহর সূচনা লগ্নে খড়িয়ানগর নামেই পরিচিত ছিল। বর্তমানে কোতোয়ালি থানাতেই ছিল অতীত দিনের খড়িয়া থানা। সেই খড়িয়া আজ জলপাইগুড়ি শহরে পরিণত হয়েছে। ১৮৬৯ সালে জলপাইগুড়ি জেলার সূচনা হয়। পরবর্তীতে ১৮৮৫ সালে জলপাইগুড়ি পুরসভা স্থাপিত হয়। কালের নিয়মে সঙ্গে এই শহরে জনসংখ্যা বেড়েছে। প্রায় সাত হাজার লোকের বসবাস নিয়ে শুরু হওয়া শহরের জনসংখ্যা বর্তমানে লক্ষাধিক। বাসিন্দারা বলেন, কর্পোরেশন হলে সুযোগ সুবিধা অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাই দাবি উঠছে পুরসভাকে কর্পোরেশন করার। ১৯১৬ সালে এখানে ওয়ার্ড ছিল ১৮টি। ১৯৯৫ সালে এসে পুরসভায় আরও সাতটি ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে যায়। পাণ্ডাপাড়া ও অরবিন্দ কলোনির কিছু অংশ পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০৯ সালে সেবাগ্রাম, অরবিন্দ, পাতকাটার কিছু অংশ নিয়ে কর্পোরেশন তৈরির জন্য প্রস্তাব নেওয়া হয়। যদিও এখনও তা কার্যকরী হয়নি।