কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি ব্লকের দায়িত্বে থাকা খাদ্যদপ্তরের পরিদর্শক সুপ্রকাশ মণ্ডল বলেন, নভেম্বর মাসে যাঁরা স্পেশাল ক্যাম্পের সময় রেশনকার্ডের জন্য দরখাস্ত দিয়েছিলেন তাঁদের কার্ড চলে এসেছে। ডাকঘর মারফৎ দেওয়া হচ্ছে। নাম বা ডিলারের নাম ভুল সংক্রান্ত সংশোধিত রেশনকার্ড অফিস থেকে আমরা দিচ্ছি। একাজ কিছুটা শেষ হলেই ফের নাম বা ডিলার ভুল বা স্থান পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে। ডিজিটাল রেশনকার্ডের কাজ সারাবছর ধরেই চলবে।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দায়িত্বে থাকা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক মানিক দাস বলেন, যেসব রেশনগ্রাহক তাঁদের নাম সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদের কার্ড জলপাইগুড়ি প্রধান ডাকঘরে এসেছে। ওসব ব্লক খাদ্যদপ্তরে পাঠানো হচ্ছে।
২০১৬ সালে ডিজিটাল রেশনকার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়। রেশনকার্ড ডিজিটাল করতে সেসময় একাধিক গ্রাহক হয়রানি হওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন ব্লকের সঙ্গে ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি ব্লকে রেশনকার্ড সংশোধনের ও নতুন কার্ডের জন্য স্পেশাল ক্যাম্প শুরু করা হয়। সেসময়েও রেশন কার্ড সংশোধন ও নতুন করে তৈরি করতে লম্বা লাইন পড়ে যায়। সেসময়ের কার্ডের জন্য যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাঁদের কার্ড ব্লক অফিসে চলে এসেছে। ওই কার্ডগুলি এখন বিতরণ করা হচ্ছে। নাম বা ঠিকানা ভুল সংশোধন করার জন্য যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাদের ব্লক অফিস থেকে এবং নতুন ডিজিটাল কার্ড ডাকঘরের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
খাদ্যদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ময়নাগুড়ি ব্লকে রেশন ডিলার রয়েছে ৫০ জন। মোট ৬১টি রেশন দোকান রয়েছে। অপরদিকে ধূপগুড়ি ব্লকে ১১০ জন রেশন ডিলার রয়েছেন। ময়নাগুড়ির ৬১টি রেশন দোকানের অধীনে প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি গ্রাহক আছেন। অন্যদিকে ধূপগুড়িতে প্রায় সাড়ে চার লক্ষের বেশি রেশনগ্রাহক রয়েছেন।
তবে নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পেলেও তাতে নাম বা ডিলারের নাম ভুল থাকার অভিযোগ উঠছে। আর এজন্য নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে খাদ্যদপ্তরে নিয়ে গেলে তা এখন জমা না নেওয়ার অভিযোগ অনেকে তুলেছেন।