কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
কোচবিহার মিউনিসিপ্যাল পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক বীরেশ্বর সুকুল বলেন, কোচবিহার পুরসভায় ২৫০ জনেরও বেশি পেনশন প্রাপক রয়েছেন। তাঁরা জানুয়ারি মাসের পেনশন এখনও পাননি। ২০১৫ সাল থেকে যাঁরা অবসরগ্রহণ করেছেন তাঁরা গ্র্যাচুইটির টাকাও হাতে পাননি। তার আগেও কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মী গ্র্যাচুইটির টাকা এখনও পাননি। এঁদের মধ্যে অনেকে মারাও গিয়েছেন। পেনশন প্রাপকদের মাসের প্রথমেই টাকার বিশেষ দরকার হয়ে পড়ে। পেনশনের টাকা না পাওয়ার কারণে সকলেই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। পুরসভার উদাসীনতার কারণেই এসব হচ্ছে। আমরা বিষয়টি পুরসভা ও প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং বলেন, পুরসভার পেনশন প্রাপকরা পেনশনের টাকা পাননি, এটা আমি জানি। টাকার পরিমাণ কম হলে পুরসভা একটা ব্যবস্থা করতে পারত। কিন্তু এটা অনেক পরিমাণ টাকা। পেনশন রাজ্য থেকে আসে। পুরসভার উপরে এই দায়িত্ব বর্তায় এটা ঠিক কথা। আমরা এই বিষয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছি। তারপর দুই-তিনবার রিমাইন্ডারও দিয়েছি। কিন্তু পেনশনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা এখনও আসেনি। গ্র্যাচুইটির টাকার জন্যও ফান্ড আসে। সেই ফান্ড এলে তবেই গ্র্যাচুইটির দেওয়া সম্ভব হবে।
ভোটের মুখে কোচবিহার পুরসভার পেনশনভোগীদের পেনশন আটকে থাকায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল। সাধারণত প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিগত মাসের পেনশন পান তাঁরা। ডিসেম্বর মাসের পেনশন জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই মিলেছে। কিন্তু জানুয়ারি মাসের পেনশন এখনও পাননি। এতদিন ধরে তাঁরা অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হতে চললেও পেনশনের টাকা তাঁরা পেলেন না। এমন অবস্থায় মার্চ মাসে পেনশন আদৌ মিলবে কি না তা নিয়ে তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন। পেনশন প্রাপকদের সংগঠনের অভিযোগ, পেনশন না পেয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা সমস্যায় পড়েছেন। অনেককেই ওই টাকায় ওষুধ কিনতে হয়। এছাড়াও সংসার পরিচালনা করতে হয়। মাসের পেনশন না পেয়ে স্বাভাকিভাবেই তাঁরা বিপাকে পড়ছেন। তাঁদের দাবি, পুরসভা যদি জানতই যে জানুয়ারিতে পেনশন মেলেনি তবে তারা কেন এতদিনেও কোনও ব্যবস্থা করল না। সংগঠনের আরও অভিযোগ, বেশকয়েক বছর আগে কোচবিহার পুরসভা থেকে অবসর নেওয়ার পরেও অনেকেই এখনও গ্র্যাচুইটির টাকা পাননি।