নয়াদিল্লি: শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের বিড়ম্বনা আরও বাড়ল। তাঁর আমলে দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হচ্ছে বলে এবার অভিযোগ তুললেন সেবির আধিকারিকরা। গত ৬ আগস্ট অর্থ মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মাধবীর আমলে সেবিতে কাজের পরিবেশ অসহনীয় হয়ে গিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রায়ই অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেওয়া হয়। এছাড়া মাধবীর কাছের লোকেরা অন্যদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে থাকেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার সেই চিঠি প্রকাশিত হয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। তাতে বলা হয়েছে, ‘অফিসের বৈঠকগুলিতে চীৎকার, ভর্ৎসনা এবং প্রকাশ্যে অপমানজনক কথাবার্তাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এর আগে মাধবীর বিরুদ্ধে সেবির পদে থাকাকালে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের থেকেও বেতন নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। বিতর্কের প্রেক্ষিতে ব্যাঙ্ক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, অবসরের প্রাপ্য দেওয়া হয়েছে মাধবীকে। বেতন নয়। কিন্তু এই দাবি মানতে চায়নি কংগ্রেস। তারা প্রশ্ন তুলেছে, বেতনের থেকে পেনশন দ্বিগুণ হয় কী করে। এই বিতর্কে অবশ্য এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি মাধবী। তারইমধ্যে সামনে এল কর্মীদের চিঠি।
‘বিষাক্ত পরিবেশ’-এর নমুনা তুলে ধরা হয়েছে চিঠির ছত্রে ছত্রে। অভিযোগ করা হয়েছে, ‘কর্মীদের গতিবিধির উপর মিনিটে মিনিটে নজরদারি চলে। পাশাপাশি নিত্যনতুন টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়।’ এর ফলে কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কর্মজীবন চালিয়ে যাওয়াই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কর্মীরা রোবোট নন যে কেউ একবার নব চালু করে দিলেই কাজের পরিমাণ বাড়বে।’ এত কিছুর পরেও প্রতিহিংসার ভয়ে কর্মীরা প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার সেবি জানিয়েছে, ‘কর্মীদের কাজের পর্যালোচনার ফর্মাট বদল করা হয়েছে। তাতেই কর্মসংস্কৃতি বদল ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর মিটিং নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।’