ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
কার্তি অবশ্য ডিএমকের উচ্চবর্ণ বিরোধী জাতপাতের রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন। কারণ, তামিল সমাজে চিদম্বরম পরিবার বা তাদের নাট্টুকোট্টাই নাগারাথার সম্প্রদায় উচ্চবর্ণ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। গ্রামীণ কেন্দ্র শিবগঙ্গায় এই ব্যবসায়ী জাতি ছড়িয়ে ৭২টি চেট্টিনাড় গ্রামে। তা সত্ত্বেও কারাইকুডিতে প্রচারে বেরিয়ে কার্তি সাফ জানাচ্ছেন, ‘আমি এসবে বিশ্বাস করি না। আমার একমাত্র মেয়ের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ফর্মে জাতির জায়গায় নট অ্যাপ্লিকেবল লিখি। তবে এটাও ঠিক, এখানে জাতপাতের রাজনীতি সক্রিয় হলে বাবা এখান থেকে সাতবার জিততেন না।’ কথাটা সত্যি! কারণ ১৬ লক্ষেরও বেশি ভোটারের শিবগঙ্গায় তাঁদের সম্প্রদায়ের ভোট এক লক্ষেরও কম। তাহলে কার্তির জোরের জায়গা কী? সেটাই দেখা গেল প্রচারসভায়। অনেকটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কায়দায় বললেন, ‘আগে ৮ টাকায় সাবান পাওয়া যেত। এখন তার দাম কত? অন্তত ২০ টাকা। ১ টাকার শ্যাম্পুর দামও পাঁচগুণ বেড়েছে। ২০০ টাকার হাওয়াই চটি ৩৫০-র কমে মেলে না। গ্যাসের দাম ছেড়েই দিন, কেবল টিভির জন্য মাসে ২৫০ টাকা দিতে হয়। কেন জানেন? মোদি নিয়ম করেছেন, একসঙ্গে চ্যানেল নিতে হবে। তার উপর জিএসটি। সব কিছুর দাম বেড়েছে, কিন্তু আপনাদের রোজগার বেড়েছে কি? নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম কমাতে মোদি সরকারকে গদি থেকে হটাতেই হবে।’ এমনকী বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় মন্দিরে বলিপ্রথা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে, যেমনটা হয়েছিল জয়ললিতার সময়। এটা কী বিজেপির হিন্দুত্বের পাল্টা? কার্তি অকপটে স্বীকার করেছেন, তামিলরা নিরামিষ পছন্দ করেন না। এটা এবার ভোটের ইস্যু।
নাগারাথারা মূলত বিজেপিকে পছন্দ করছেন। এবার এই কেন্দ্রে সাড়ে তিন লাখ ভোটে পিছিয়ে থাকা বিজেপির বাজি দেবনাথন যাদব। কিন্তু ভোটের আগে তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা মায়লাপোর হিন্দু পার্মানেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে ৫২৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ। আর এআইএডিএমকে প্রার্থী জেভিয়ার দাস এবারই প্রথম নির্বাচনী ময়দানে। ফলে ডিএমকের ভোটব্যাঙ্কের ভরসায় সহজেই এবারের লড়াই জেতার আশায় কার্তি।