পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
বছরের অন্যান্য সময়ে সিঙ্গল-ইঞ্জিন একটি হেলিকপ্টারের ঘণ্টায় ভাড়া ৮০-৯০ হাজার টাকা। ভোটের সময় সেই ভাড়া হাঁকা হচ্ছে দেড় লক্ষ টাকা। এই ধরনের কপ্টারে সাত জন যাত্রী বসতে পারেন। আর ১২ জন যাত্রী বসার জন্য রয়েছে ডাবল-ইঞ্জিন হেলিকপ্টার। সাধারণত এই ধরনের কপ্টারের ভাড়া ঘণ্টায় দেড় লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। আর এখন সুযোগ বুঝে অপারেটার্সরা এই কপ্টারের ভাড়া সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হাঁকছেন। পাল্লা দিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে চাটার্ড বিমানের। ঘণ্টায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পড়ছে। গতবারের লোকসভা ভোটের সময় ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষে চাটার্ড বিমান ও কপ্টারের জন্য কংগ্রেস খরচ করেছিল ১২৬ কোটি টাকা। আর এই খাতে বিজেপির খরচ হয়েছিল প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দুই জাতীয় দল যে হিসাব পেশ করে, তার থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। রোটারি উইং সোসসাইটি অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট (পশ্চিমাঞ্চলীয় শাখা) ক্যাপ্টেন উদয় গিল বলেন, ‘লোকসভা ভোটের জন্য কপ্টারের চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।’ সময় বাঁচাতে রাজনৈতিক দলগুলি নেতা ও প্রার্থীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন। এপ্রসঙ্গে ক্যাপ্টেন উদয় জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে কপ্টারের চাহিদা অনেক বেশি।
এদিকে, বিজনেস এয়ারক্র্যাফ্ট অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন আর কে বালি জানান, অন্যান্য বারের ভোটের তুলনায় এবার লোকসভা ভোটে চাটার্ড বিমানের চাহিদা ৩০-৪০ শতাংশ বেড়েছে। এবার সাত দফায় ভোট। প্রথম ভোট গ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল। আর শেষ দফার ভোট ১ জুন। ফলে প্রাইভেট জেটস ও কপ্টারের চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।