ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
এনআইএ সূত্রে খবর, মোজ্জামেল বিভিন্নভাবে লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছিল দুই আইএস জঙ্গিকে। বিস্ফোরণের আগে তার বাড়িতে ছিল তহ্বা ও সাজভি। ভারতে আইএস সংগঠনের জন্য বিদেশ থেকে যে টাকা আসত, তা সংগ্রহ করত মোজ্জামেল। ১ মার্চ বিস্ফোরণের আগে দু’জনেই দু’লক্ষ টাকা নিয়ে বেরয়। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে কলকাতায় আসার পর তাদের টাকায় টান পড়ে। এই সময় মূল অভিযুক্ত তহ্বা যোগাযোগ করে মোজ্জামেলের সঙ্গে। তাকে টাকা পাঠাতে বলা হয়। তদন্তকারীরা জেনেছেন, টর্কের মাধ্যমে আইএস জঙ্গিদের মেসেজ আদানপ্রদান চলত। তা পাঠোদ্ধার করে তাঁরা জেনেছেন, দু’জনকে বলা হয়েছিল দেশের বিভিন্নপ্রান্তে থাকা আইএস মডিউল মেম্বারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আইএসের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশমতো নিউ মার্কেটের হোটেল থেকে দুই জঙ্গি ১৪ মার্চ বেরনোর পর ধর্মতলা থেকে রাঁচিগামী বাসে ওঠে। তার ছবি হাতে এসেছে এনআইএর। রাঁচিতে গিয়ে দেখা করে আইএসে মডিউলের এক বড় মাপের জঙ্গির সঙ্গে। সে তাদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। ধৃতরা জেরায় অফিসারদের জানিয়েছে, ওই জঙ্গি নেতা পঞ্চাশের উপর সিম তুলে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে ভুয়ো পাসপোর্ট সহ আরও কিছু জাল নথি দিয়েছিল। সেখান থেকে তারা ২১ তারিখ কলকাতায় ফেরে। এর মাঝে তাদের সঙ্গে কথা হয় মোজ্জামেলের। সে তাদের জানায়, বিমানে করে কলকাতায় আসছে টাকা নিয়ে। সেইমতো এখানে পৌঁছে দেয় টাকা। ধরা পড়ে যাবার ভয়ে অনলাইনে কোনও লেনদেন চালাত না অভিযুক্তরা।
ধৃতরা জানিয়েছে, দক্ষিণ ভারতে থাকাকালীন তারা নেট সার্চ করে কলকাতা ও জেলার গেস্ট হাউসের খোঁজ করে। সেইমতো কলকাতায় এসে ওঠে। মোজ্জামেল ধরা পড়ার খবর জানার পরই কলকাতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ঠিক করে কোনও পর্যটনস্থলের আশপাশে লুকিয়ে থাকবে। তারা দেখে দীঘাতে প্রচুর গেস্ট হাউস রয়েছে। সেইমতো সেখানে রওনা দেয়। কিন্তু এর মাঝে মোজ্জামেল ধরা পড়ে যাওয়ায় এনএআই জানতে পারে মূল ষড়যন্ত্রকারী তহ্বা ও সাজভি কলকাতায় কোথায় রয়েছে। তদন্তকারীরা মোজ্জামেলের কাছ থেকে দুই অভিযুক্তের নতুন নম্বর ও কলকাতার ডেরার নথি নিয়ে হানা দেয় কলকাতায়। গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।