পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
এই আবহেই যুক্ত হয়েছে এখানকার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক। এই জেলায় মোট ভোটের প্রায় ৩৫ শতাংশ রাজবংশী ভোটার। তাঁদের ভোট নিজেদের দিকে টানতে বদ্ধ পরিকর যুযুধান তৃণমূল এবং বিজেপি শিবির। রাজবংশী সম্প্রদায়ের অনন্ত মহারাজকে আগেই রাজ্যসভায় পাঠিয়ে অ্যাডভান্টেজে পেতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু রাজবংশীদের জন্য বিলি করা প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায়, ইদানিং ‘বেসুরো’ অনন্ত মহারাজের নানা বক্তব্যই চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। আরেক রাজবংশী নেতা বংশীবদনের সমর্থন শাসক শিবিরকে স্বস্তি দিচ্ছে। জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ২০১৯’এ এখানকার মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু, এবার পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গিয়েছে। জোড়া ফুল শিবির এবার অনেক বেশি প্রস্তুত। বিজেপি এখানকার মানুষের কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেনি। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার সবরকম উন্নয়নের কাজ করেছে। জেলায় বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট পর্যবেক্ষক অমিতাভ মৈত্র বলেন, ২০২১ সাল থেকে জেলায় তৃণমূল যে সন্ত্রাস চালিয়েছে, এবার তা রুখে দেওয়াই তাঁদের মূল লক্ষ্য। সিএএ নিয়ে তৃণমূলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধেও তাঁদের লাগাতার প্রচার চলছে। তাঁর দাবি, এখানে অনন্ত মহারাজের বক্তব্য কোনও ফ্যাক্টর নয়। অমিতাভবাবুর যুক্তি, রাজবংশীদের সমর্থন যে বিজেপির দিকেই থাকবে, সেটাও উনি (অনন্ত মহারাজ) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
সবমিলিয়ে কোচবিহারের ভোট বাজার বেশ জমজমাট। চায়ের ঠেক থেকে পাড়ার আড্ডা সর্বত্র একই আলোচনা, কে করবে কেল্লাফতে? সিতাইয়ের জীবন সাহা, কোচবিহারের নমিতা রায় কিংবা দিনহাটার বাবুরাম বর্মন সকলের কথাতেই, সরকারি পরিষেবা এখন দুর্দান্ত। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে অন্যান্য পরিষেবা তৃণমূলের পাল্লাকে ভারী করেছে। সেখানে বিজেপি এখনও শুধুই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে! তবে কি এবার এখানে হাওয়া ঘুরতেও পারে? দিনহাটা বাজারে বসে সীতেশ রায় বলছিলেন, চিত্রটা এতটাও সহজ হবে না। গোষ্ঠীকোন্দল এখনও তৃণমূলকে বেশ চাপে রেখেছে। এবিষয়ে তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যা ছিল না, এটা বলব না। তবে সেটা প্রায় ৮০-৯০ শতাংশই মিটে গিয়েছে। তৃণমূল দলীয় সূত্রের দাবি, এবার তারা নাটাবাড়ি, সিতাই, শীতলকুচি, দিনহাটা জয়ের বিষয়ে ১০০ ভাগ নিশ্চিত। কোচবিহার উত্তর এবং দক্ষিণে ফল খারাপ হতে পারে। মাথাভাঙায় ফল টক্করের থাকবে বলেই দাবি। সেক্ষেত্রে জেলার তিনটি পুর এলাকার (কোচবিহার শহর, দিনহাটা এবং মাথাভাঙা) ভোট কোন বাক্সে বেশি যায়, সেদিকেই তাকিয়ে জোড়াফুল শিবির। এই তিনটি এলাকা থেকে লিড পেলে কেচবিহার সিট জেতা নিশ্চিত হবে বলে দাবি তৃণমূলের।