পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
বর্ধমান থেকে ওড়গ্রাম যাওয়ার সময় তালিত দিঘিরপাড়ের কাছে এসে দিলীপবাবু গাড়ির গতি কমিয়ে দেন। সেইসময় ব্লকের যুবসভাপতি জলের গ্লাস নিয়ে তাঁর গাড়ির দিকে এগিয়ে যান। এরপরই দিলীপবাবু গাড়ি থেকে নেমে সোজা মঞ্চে চলে আসেন। তৃণমূল কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকে আবার দিলীপবাবুর সঙ্গে সেলফি তুলতে থাকে। মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতেই ব্লক সভানেত্রী চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন। কর্মীদের কেউ কেউ বিজেপি প্রার্থীর উদ্দেশে বলেন, চাপ নেই, বসুন। দিলীপবাবু পাল্টা বলেন, আমার উপর চাপ নেই। অন্যের উপর চাপ থাকে। তিনি বলেন, ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
ব্লকের যুব সভাপতি মাইক হাতে বলেন, আমাদের জলসত্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ উপস্থিত হয়েছেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। পরে দিলীপবাবু মাইক হাতে বলেন, রাজনীতি তার জায়গায় থাক। সামাজিক অনুষ্ঠানে যেন সৌভ্রাতৃত্ব বজায় থাকে। রামনবমী, নববর্ষ আসছে। সবাই মিলে সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের সঙ্গে দিলীপবাবুর সম্পর্ক সাপে-নেউলে। সুযোগ পেলেই বিজেপি প্রার্থী শাসকদলের উদ্দেশে কড়া মন্তব্য করেন। বিতর্কিত মন্তব্য করতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। সেকারণে দল তাঁকে শোকজ করেছে। সেই দিলীপবাবু তৃণমূলের মঞ্চে গিয়ে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। অনেকে লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের নেতারা তাঁকে কেন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিলেন তা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও বর্ধমান-১ ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য বলেন, আমরা কেউ ওঁকে ডাকিনি। প্রচারে আসার জন্য উনি নিজে গাড়ি থেকে নেমে আমাদের কর্মসূচিতে চলে আসেন। আমরা দলের স্লোগান চালিয়ে যেতে থাকি। তৃণমূল প্রার্থীকেও জয়ী করার আহ্বান জানাতে থাকি। এসব করে উনি লাভ করতে পারবেন না। দিলীপবাবু বলেন, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। অনেকে অবশ্য বলছেন, রাজনীতিতে এমন ছবিই কাম্য। ভোট হোক ইভিএমে। কিন্তু সব দলের মধ্যে যেন সৌজন্য থাকে। বিশেষ করে দিলীপবাবু উল্টো পথে হাঁটায় অনেকে বলছেন, ‘শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে’।