কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত এরাজ্যে ৬১ জন করোনা পজিটিভ রয়েছেন। তার মধ্যে ৫৫ জনই সাতটি পরিবারের সদস্য। এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে জানা গিয়েছে, রাজ্যে আক্রান্তদের মধ্যে ৯৯ শতাংশেরই বিদেশ যোগ রয়েছে। নতুন করে করোনা আক্রান্ত কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তদের সুস্থতার হার নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আরও ১৭ জনের মধ্যে ১২ জন সুস্থতার পথে। কালিম্পিংয়ের একই পরিবারের আক্রান্ত দশজনের মধ্যে চারজনের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। একজন বাদে বাকি সব করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থা সন্তোষজনক বলে তিনি জানিয়েছেন। মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সতর্কতা অবলম্বন করলে আগামীদিনে এই মহামারীর হাত থেকে রেহাই মিলতে পারে।
অন্যদিকে, মহামারী নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল রাস্তায় নেমে থালা-কাঁসর বাজিয়ে রাজনীতি করছে। ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের আইটি সেল ‘ফেক’ নিউজ ছড়াচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। মানুষের পাশে থাকতে হবে। আগে ম্যালেরিয়াতেও বহু মানুষ আক্রান্ত হতেন। এমনকী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটত। তা এখন কমে গিয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মমতা। শুধু ম্যালেরিয়া নয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যানও দেন। এই দুই পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বোঝান আক্রান্তরা কীভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেও এভাবে সুস্থ হয়ে উঠবেন রোগীরা, আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যবাসীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, আমি ডাক্তার নই, যেটুকু বুঝি সেটুকু বলছি, খালি পেটে থাকবেন না, পেট ভরে খান, এখন ডায়েট করবেন না। ডিম সিদ্ধ খান। বাজার থেকে সব্জি কিনে এনে উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন। উষ্ণ গরম জলে লেবু মিশিয়ে খান। নিজস্ব চিত্র