কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
হাওড়া হাসপাতালে এখন না যাওয়ার অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দুটো হাসপাতালে নতুন সেটআপ করছি। ওই দুটি হাসপাতাল হল, উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতাল এবং সঞ্জীবনী হাসপাতাল। চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে সরকার। হাওড়ার জন্য আমরা নতুন সেটআপ করছি। হাওড়াতে নজর দিতে হবে। আপনারা নিজেরা অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করুন, না পারলে পুলিসকে বলবেন, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেবে। আপনারা এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে চলে যান, সরকার সবরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। আশার আলো জাগিয়ে রেখে মৃতের সংখ্যা নতুন করে বাড়েনি বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আগামীকাল, শনিবার লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি থাকবেন বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন দেখি, তারপর আমরা আলোচনা করব। তবে কেন্দ্রীয় সরকার যা বলবে সেটা তো মানতে হবে, আমরা কোঅপারেট করব।
বৃহস্পতিবার বণিকসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে মমতা বলেন, রাজ্যের সাত-আটটি জায়গাকে হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরও কোথায় করোনা আক্রান্ত রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে একটি নতুন অ্যাপ চালু করা হয়েছে। আশাকর্মীরা এলাকায় ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠাবেন। সরাসরি নবান্নের সার্ভারে সেই তথ্য চলে আসবে। জানা যাবে কোন এলাকায়, কতজন করোনা আক্রান্ত বা রোগের উপসর্গ নিয়ে রয়েছেন। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন শিল্পমহলের প্রতিনিধিদের জানান, করোনা মোকাবিলায় সরকার সবরকম চেষ্টা করছে। তবে সরকার একা পারবে না, সকলের সহযোগিতা দরকার। পশ্চিমবঙ্গ একটি যৌথ পরিবার। তিনি বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তৈরি হয় এমন কারখানা এবং প্রতিষ্ঠানে ১৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু করা যাবে। তবে তাঁদের মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে হবে। দূরত্ব বজায় রেখে কারখানায় কাজ করতে হবে। মানুষের প্রয়োজনে সরকারের দেওয়া ট্যাক্সি অর্থাৎ গতিধারা প্রকল্পের গাড়িগুলি ব্যবহার করা যাবে। যেখানে চালকসহ তিনজন যাতায়াত করতে পারবেন। চা বাগানে ১৫ শতাংশ কর্মীকে কাজে লাগানো যাবে।
বণিকসভার প্রতিনিধিরাও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। সকলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে যে কাজ করছেন তা অন্য রাজ্যে দেখা যাচ্ছে না। অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অনেক ভালো। বৈঠকের মধ্যে অনেকে করোনা ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, আপনারা আপনাদের ফান্ডের ৫০ শতাংশ টাকা খরচ করুন শ্রমিকদের জন্য, আর বাকি ৫০ শতাংশ টাকা দিন ত্রাণ তহবিলে। সকলের সহযোগিতা ছাড়া করোনাকে ঠেকানো যাবে না। আপনারা মাস্ক তৈরি করুন, পিপিই কিট তৈরি করুন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ৫৬২টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত ৫১৮৮ জন ছাড়া পেয়েছেন, এখনও রয়েছেন ৪৭১৭ জন। রাজ্যে ৬১টি করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৮৮৬টি করোনা পরীক্ষা হয়েছে, যদিও এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেন, বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।