ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
চড়া রোদ। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়েই শহরের পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। চিড়িয়াখানার অন্দরমহলে এখন হাতে গোনা মাত্র দর্শক। পশুপাখিরা ছায়ার আড়ালে আশ্রয় নিয়েছে। সকলেই নেতিয়ে। মেজাজ খানিক চড়ার দিকে। তাদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা চিড়িয়াখানার কর্মীদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। গরমকালে সুস্থ রাখতে পশু-পাখিদের ডায়েট কী হবে? কীভাবে তাঁদের প্রবল তাপপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা করা হবে? এই সমস্ত বিষয় দেখভাল করার জন্যই তৎপরতা তুঙ্গে আলিপুর পশুশালার। বসেছে কুলার, ফ্যান, স্প্রিংক্লার। রাখা হয়েছে বরফ।
তবে শুধু দেহের বাইরের অংশ ঠান্ডা করলে তো হবে না, পশুপাখিদের পেট ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থাও জরুরি। তার জন্য উপযুক্ত ডায়েটের ব্যবস্থা করেছে চিড়িয়াখানা। পশুশালার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, ‘গরমে খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। তাই প্রাণীদের খাদ্যের পরিমাণও পরিবর্তন করা হয়েছে। ওদের জলযুক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। গরমের জন্য খাদ্য তালিকায় রয়েছে শশা, তরমুজ, পেঁপে, আঙুর ও অন্যান্য টাটকা ফল। এছাড়াও পানীয় জলে ওআরএস বাধ্যতামূলকভাবে দেওয়া হচ্ছে।’ প্রাণী চিকিৎসকদের বক্তব্য, ‘প্রচণ্ড গরমে শরীরে নুনের ভারসাম্য বজায় রাখতে ওআরএস দেওয়া হয়। একই সঙ্গে খাবারের সময়েরও পরিবর্তন করা হয়েছে। সকাল আটটার মধ্যে দেওয়া হচ্ছে খাবার।’ -নিজস্ব চিত্র