পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
সেন্টার ফর কালচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড ট্রেনিং (সিসিআরটি) এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়ে থাকে। এবার কলকাতা থেকে প্রথম কোনও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা গুয়াহাটিতে ১৫ দিনের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। সৌম্যা মুখোপাধ্যায় নামে সেই শিক্ষিকা আগে থেকেই স্কুলে এ ধরনের নানা উদ্যোগ নিতেন। গুয়াহাটির শিবিরে গিয়ে পুতুল বা পাপেট্রির বিভিন্ন ধরন, গ্লাস, ফিঙ্গার, শ্যাডো, রড প্রভৃতির উন্নততর সংস্করণ তৈরির প্রশিক্ষণ পান। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সেই প্রশিক্ষণই অন্যান্য শিক্ষিকাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন তিনি। সৌম্যাদেবী জানান, রাজ্য থেকে ১০ জনের দলে তিনিই ছিলেন একমাত্র মহিলা এবং কলকাতার শিক্ষিকা।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে পাঠদানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ভারতীয় বিভিন্ন শিল্পকলা মাধ্যমকে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। তারই অন্যতম পাপেট্রি। সৌম্যাদেবী বলেন, ‘এদিনের কর্মশালায় ছাত্রীরাও নিজের হাতে পুতুল বানিয়েছে, কবিতা এবং ইংরেজি গল্প পুতুলনাচের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। সেখানে তারা উৎসাহ নিয়ে সাড়া দিয়েছে।’ ২০২২ সালে রাজ্যের তরফে ‘শিশুমিত্র’ পুরস্কার পাওয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অদিতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা পাঠদানে টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল (টিএলএম) বরাবরই ব্যবহার করে থাকি। তবে সেটাকে আরও মনোগ্রাহী করে তুলতে পাপেট্রির ব্যবহারও শুরু হচ্ছে।’ এই স্কুলে প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদের সংখ্যাই বেশি। ফলে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি প্রয়োজন। ১৪ নম্বর সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক সুপর্ণা চক্রবর্তীও এ ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। অন্যান্য স্কুলেও তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে।-নিজস্ব চিত্র