পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
কলকাতায় রোজই লাফিয়ে বাড়ছে এই নয়া কায়দায় প্রতারণা। এর শিকার হচ্ছেন কলকাতা শহরের বিত্তবান নাগরিকরা। বাধ্য হয়েই এই প্রতারণা চক্রের পান্ডাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার। গোয়েন্দারা বলছেন, গ্রেপ্তার করা না হলে এই নয়া কায়দায় প্রতারণা বন্ধ করা যাবে না। ধড়পাকড় শুরু হলেই, ঠিক যেভাবে সাম্প্রতিক অতীতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আধারের আঙুলের ছাপ হাতিয়ে টাকা তোলার কারবার, এটাও বন্ধ হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭২ ঘণ্টায় কলকাতা পুলিসের একাধিক ডিভিশনের ক্রাইম মিটিংয়ে ডিসিরা থানার ওসিদের এই বিনিয়োগ প্রতারণা কাণ্ডে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারে জোর দিতে বলেছেন। কারণ, আধারের ক্ষেত্রে এক লপ্তে খোয়া যেত মাত্র ১০ হাজার টাকা। কিন্তু এই নয়া কায়দার বিনিযোগ- প্রতারণায় টাকার অঙ্কটা শুরু হচ্ছে কমপক্ষে চার লক্ষ থেকে। এটাই গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার বড় কারণ।
ভিনরাজ্য তো বটেই, এরাজ্যেও সাইবার দুষ্কৃতীদের একটি দল এই কারবার ফেঁদে বসেছে। কীভাবে চলছে এই প্রতারণা চক্র? গোয়েন্দাদের এক সূত্র জানাচ্ছে, প্রথমে বিনা পয়সায় শেয়ারে বিনিয়োগের টিপস দেওয়ার নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হচ্ছে। সিংহভাগ ক্ষেত্রে লোভের বশে প্রথমে অল্প টাকা বিনিয়োগ করছেন কলকাতার বিত্তবান বাসিন্দারা। প্রথমদিকে বিনিয়োগকারীর বিশ্বাস অর্জনের জন্য এই চক্রের দুষ্কৃতীরা বিনিয়োগের দিন সাতেকের মধ্যে লাভ সহ টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে। তারপর মোটা টাকা বিনিয়োগ হলেও, ওই বিনোয়াগকারীকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁর যোগযোগ করতেও সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি লালবাজার সাইবার থানায় রবীন্দ্র সরণির এক পরিবহণ ব্যবসায়ী সাড়ে ৩১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ হয়। সেই মামলায় ডানকুনি থেকে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিস।