পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
ভোটে জিতলে প্রথম কী করবেন? দেবদূতের কথায়, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে আছেন। বিভিন্ন জুটমিলে নানা ধরনের সমস্যা আছে। এখানকার সাংসদকে জিজ্ঞাসা করুন, শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে তিনি ক’দিন সংসদে প্রশ্ন করেছেন। মহম্মদ ইসমাইল থেকে তড়িৎ তোপদার দীর্ঘদিন বারাকপুরের সাংসদ ছিলেন, তাঁরা সংসদে অনেক বেশি সময় দিতেন এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরার জন্য। আমিও চাই বারাকপুরের মানুষের কথা লোকসভায় তুলে ধরতে।
সাক্ষাৎকারে সিপিএম প্রার্থী বলেন, আমি চাই বারাকপুরের ভোটে যেন রক্তপাত না হয়। মানুষ শান্তিতে ভোট দিক। এবার মানুষ ভোট দেবেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, মানুষের টাকা চুরির প্রতিবাদে।
বারাকপুর মানেই এখন বোমা, গুলি, বারুদের গন্ধ। দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ রোধে আপনার ভূমিকা কী হবে? উত্তরে দেবদূত ঘোষ বলেন, আমি তা মনে করি না, বারাকপুর মানে সংস্কৃতির জায়গা। আমি থিয়েটার করতে বহুবার বারাকপুর, নৈহাটি এসেছি। বহু মানুষ থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত। কতিপয় দুষ্কৃতীর জন্য গোটা কেন্দ্রের দুর্নাম হতে পারে না। এই ধারণা বদল করা দরকার। এর জন্য প্রয়োজন পুলিসের কড়া নজরদারি। কেন রক্তপাত হবে? কেন মারামারি হবে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে অনুরোধ করব, ভোটে যেন গোলমাল, রক্তপাত, হানাহানি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে। তাঁদের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে, তাই বলে সৌজন্যবোধ থাকবে না কেন।
ইতিমধ্যে বারাকপুরের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় প্রচার শুরু করেছেন দেবদূত। প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ তোপদারের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তড়িৎবাবু বলেন, আমরা প্রচার শুরু করে দিয়েছি। মানুষ ভালোই সাড়া দিচ্ছে। দেবদূতের কথায়, আমাদের পার্টির কর্মীরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকেন। আমি সকলের কাছেই যাচ্ছি। মানুষের কথা শুনছি। প্রচারে যা সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি অভিভূত।