পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পালিত হল রাজ্য দিবসও। রবিবার সকাল থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতে মুখর ছিল শহরের বিভিন্ন পাড়া। বৈশাখী শোভাযাত্রায় মিশেছে রাজ্য দিবসের আবহ। একযোগে শোনা গিয়েছে, ‘এসো হে বৈশাখ..’ থেকে শুরু করে কবিগুরুরই লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল..’।
গত বছরই পয়লা বৈশাখ দিনটি রাজ্য দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী, এবারই প্রথম রাজ্য দিবস পালন হল। এদিন রবীন্দ্রসদনে সরকারিভাবে রাজ্য দিবসের অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন ছিল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও রাজ্য পুলিসের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি নাটক, সঙ্গীত সহ সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী আচরণবিধির জেরে বড় করে রাজ্য দিবস পালন সম্ভব হয়নি। তবে বিবেক উৎসবের মতো এদিনও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিজেদের মতো করে প্রভাত ফেরি, সান্ধ্য ফেরি করেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। কোথাও কোথাও জনসমাগম ছিল দেখার মতো। কোথাও অল্পস্বল্প ভিড় হয়েছিল। ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়া দুর্গা মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বেড়িয়েছিল। বাউল, ছৌ নাচের দল, ঘোড়ার গাড়ি সহ বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ছবি ফুটে উঠেছিল সেখানে। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। পাটুলিতে ঝিলপাড়ে পয়লা বৈশাখ ও রাজ্য দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। মহিলা ও শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে ভবানীপুরে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অসীম বসু সকাল ও বিকেলে প্রভাত ফেরি ও সন্ধ্যা ফেরির আয়োজন করেছিলেন। রাজ্য দিবস উপলক্ষ্যে শিশুদের বই-খাতা, ব্যাগ, খেলার সরঞ্জাম উপহার দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাদবপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন হয়েছিল। গাঙ্গুলিবাগান থেকে সুকান্ত সেতু পর্যন্ত বাঙালির বিভিন্ন মঙ্গল চিহ্ন, মুখোশ নিয়ে প্রভাত ফেরি হয়।
এতদিন রাজ্যে শুধু ছিল পয়লা বৈশাখ উদযাপন হতো। সেই বৈশাখী-রঙে মিশে গেল রাজ্য দিবস উৎসবও। সকালে শোভাযাত্রা, বিকেলে পাড়ায় পাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা কোনো ক্লাব প্রাঙ্গণে বৈশাখী আড্ডার আয়োজন চোখে পড়েছে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে।