হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত বলেন, সামনেই পরীক্ষা। অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে প্রশাসনিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। সমস্ত কর্মীই অন্দোলনে বসেছেন। ফলে সবক’টি দপ্তরেই কর্মী সংখ্যা কম। কোনও কোনও বিভাগে হাতেগোনা এক-দু’জন কাজ করছেন। কম্পিউটার সেকশন থেকে শুরু করে অর্থদপ্তর সমস্ত বিভাগেই কর্মী কম। ফলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হচ্ছে। আন্দোলন প্রত্যাহার না হলে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে কর্মসমিতির সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের প্রধানকে ডাকা হয়েছে। বৈঠকেই কর্মীদের দাবি নিয়ে আলোচনা করা হবে। ফলাফল কীহবে জানি না। তবে আমরা বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলতে চাইছি।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রন বিশ্ববিদ্যালয়য়ে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকেছিলেন। যদিও কোরাম না হওয়ায় কর্মসমিতির বৈঠক ভেস্তে যায়। ঠিক তারপরের দিনই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অস্থায়ী কর্মীদের ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সিলমোহর দেন। কিন্তু পরের দিনই সেটির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। এরপরেই কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা। সেই কর্মবিরতি টানা ৩২ দিন চলে। পরবর্তীতে ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি তুলে নেন তাঁরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় ফের কর্মবিরতির ডাক দেন অস্থায়ী কর্মীরা।
সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির কনভেনর তন্ময় বাগচি বলেন, শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। আশা করব, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলবেই।