ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহের চাঁচলের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লাভলি খাতুন নামে এক মহিলা। অভিযোগ, তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয় নন, আসলে তিনি বাংলাদেশি নাগরিক! ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বার করে পঞ্চায়েত ভোটে লড়েন তিনি। এমনকী, ভোটে জেতার পর থেকে তিনিই সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান।
মামলাকারী রেহানা সুলতানা-সহ কয়েকজন গ্রামবাসীর দাবি, বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই একাধিকবার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়। তাঁদের অভিযোগ, লাভলির জন্ম বাংলাদেশে। সেখান থেকে এদেশে আসার পর এক ভারতীয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর বাবা হিসেবে কাগজে-কলমে যাঁর নাম রয়েছে তিনি তাঁর জন্মদাতা পিতা নন, পালকপিতা। কিন্তু মুসলিম আইনে ‘দত্তক’ গ্রহণযোগ্য নয় এবং এক্ষেত্রে বিকৃত নথি দিয়ে ভুয়ো শংসাপত্র বার করার অভিযোগ রয়েছে লাভলির বিরুদ্ধে। তার নিষ্পত্তি না-হওয়াতেই মামলাটি গড়িয়েছে হাইকোর্টে।
বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে শুনানিতে লাভলির আইনজীবী দাবি করেন, লাভলি ভারতীয় নাগরিক এবং তাঁর কাছে যাবতীয় প্রমাণপত্র রয়েছে। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত হয়েছে, অভিযুক্ত নিজের প্যান, আধার ও ভোটার কার্ড পেশ করেছেন। কিন্তু সেগুলির কোনোটিই যেহেতু নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়, তাই এই বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, মহকুমা শাসককে এই বিষয়ে ফের তদন্ত করতে হবে। সবরকম সহযোগিতা করতে হবে পুলিসকে। সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া ছ’মাসের মধ্যে শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সরকার।