ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
প্যারিস ওলিম্পিকসে ব্রোঞ্জজয়ী টিম ইন্ডিয়াকে এই প্রতিযোগিতায় দেখাচ্ছে দুর্ধর্ষ ছন্দে। আয়োজক দেশ চীনকে ৩-০ হারানোর পর হরমনপ্রীতরা রীতিমতো দুরমুশ করেছেন বিপক্ষকে। জাপান ও মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে জয় এসেছে যথাক্রমে ৫-১ ও ৮-১ ব্যবধানে। তারপর কোরিয়া ও পাকিস্তানকে পরপর ৩-১ ও ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছেন কোচ ক্রেগ ফুলটনের ছেলেরা। ডিফেন্স, মিডফিল্ড ও ফরোয়ার্ড— তিন বিভাগেই ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। বিশেষ করে স্ট্রাইকারদের সাফল্য নজর কেড়েছে হকি মহলে।
প্যারিস ওলিম্পিকসে ফিল্ড গোলের অভাব হয়ে উঠেছিল বড়সড় চিন্তার কারণ। কিন্তু এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুখজিৎ, অভিষেক, উত্তম, গুরজ্যোৎ, আরাইজিতরা ছাপিয়ে গিয়েছেন প্রত্যাশা। নজর কেড়েছেন তরুণ মিডফিল্ডার রাজকুমার পালও। অসাধারণ ফিল্ড গোল করেছেন তিনি। বর্ষীয়ান মনপ্রীত সিং, সহ-অধিনায়ক বিবেক সাগর প্রসাদ ও নীলকান্ত শর্মা মাঝমাঠে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। অধিনায়ক হরমনপ্রীতও ফর্মে রয়েছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ড্র্যাগ-ফ্লিকার তিনি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, গোলও করছেন হরমনপ্রীত। এখনও পর্যন্ত পাঁচটি পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগিয়েছেন তিনি। যোগ্য সহায়তায় রয়েছেন তরুণ যুগরাজ সিং। এখন বিশ্বের দ্রুততম ড্যাগফ্লিকার হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন তিনি।
তবে সেমি-ফাইনাল মানেই কঠিন পরীক্ষা। মুহূর্তের ভুলে মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে লিগ পর্বের দাপট। দক্ষিণ কোরিয়াকে হাল্কাভাবে নিলে তাই বড় ভুল করবে নীল জার্সিধারীরা। লিগ পর্বে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাল না ছাড়া মানসিকতার পরিচয় রেখেছে কোরিয়ানরা। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে অন্তিম মুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে ছিল তারা (৩-৩)। হারলেই শেষ হয়ে যেত সেমি-ফাইনালের আশা। তাদের বড় ভরসা জিহুন ইয়াং। তিনি আপাতত প্রতিযোগিতার সর্বাধিক গোলসংগ্রহকারী। তাঁর নামের পাশে রয়েছে সাতটি গোল। ভারতীয় রক্ষণকে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য শক্তপোক্ত দেখিয়েছে ডিফেন্সকে। দুই গোলকিপার কৃষ্ণান বাহাদুর পাঠক ও সুরজ কারকেরা ভরসা জুগিয়েছেন। সদ্য অবসর নেওয়া শ্রীজেশের শূন্যতা টের পেতে দেননি তাঁরা। কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাই হরমনপ্রীতদের ভরসা জোগাচ্ছে রক্ষণভাগ। সোমবারের অন্য সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ চীন।