ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন বছরের শেষে রোহিত শর্মাদের অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পাঁচ টেস্টের এই সিরিজে খেলবেন চোট সারিয়ে ওঠা সামি। তার আগে অবশ্য বাংলার হয়ে রনজিতে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এবং প্রস্তুত হবেন মেগা সিরিজের জন্য। সেই সিরিজ ঘিরে অজি প্রাক্তনীরা পাল্টা হুঙ্কার অবশ্য দিলেন এদিনই। সাফ বললেন, ‘গত দশ বছরে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ওরা। তাই আমরা নই, চাপে অজিরাই।’
ধনধান্য অডিটোরিয়ামের চাঁদের হাটে প্রধান অতিথি অবশ্য ছিলেন অজয় জাদেজা। উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি, সন্দীপ পাতিল, ঝুলন গোস্বামীরাও। তাঁদের উপস্থিতিতে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করা হল প্রণব রায় ও রুনা বসুকে। তাঁদের হাতে স্মারক তুলে দেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। বর্ষসেরা ক্রিকেটার অনুষ্টুপ মজুমদারও পুরস্কৃত হলেন। বিশেষ পুরস্কার ছিল সামির জন্যও।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়তে দেখা গেল অজয় জাদেজাকে। মঞ্চ থেকে নেমে এসে গলার উত্তরীয় সৌরভকে পরালেন তিনি। দু’জনে বেশ কিছুক্ষণ গল্পেও মেতে উঠলেন। জাদেজার কথায়, ‘কলকাতায় এলেই মন ভালো হয়ে যায়। শেষবার এই শহরে যখন দেশের জার্সিতে খেলেছিলাম, সৌরভ ছিল সতীর্থ। ইডেনের অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার। বাংলার বড় গুণ, বাইরের ক্রিকেটারদেরও আপন করে নেয়। এখানের মানুষরা মিঠে হয়। হরিয়ানা থেকে এসে অশোক মালহোত্রা তো এখানেই থেকে গেল। সামিও বাংলা থেকে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর কলকাতার মিষ্টি দই তো আমার ফেভারিট।’
অনুষ্ঠানে চনমনে মেজাজে ধরা দিলেন প্রাক্তন জাতীয় অধিনায়ক সৌরভও। অনুষ্ঠান শেষে তাঁকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। মহারাজ বলেন, ‘ভারত কিন্তু পাকিস্তান নয়। তাই রোহিতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইটা সহজ হবে না।’ পাশাপাশি, ডনের দেশে ভারতের ভালো ফলের ব্যাপারেও আশাবাদী সৌরভ। তিনি বলেন, ‘রোহিত একজন অসাধারণ অধিনায়ক। ওর নেতৃত্বে দল অস্ট্রেলিয়ায় ভালো খেলবে। তাছাড়া ভারতের বোলিং ইউনিট দুর্দান্ত। ব্যাটাররা ধারাবাহিকতা দেখালে বিশ্বের যে কোনও জায়াগায় দাপট দেখাবে টিম ইন্ডিয়া।’