ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
প্যারিস ওলিম্পিকসে ব্রোঞ্জ জিতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে পা রেখেছিল ভারত। ছন্দ বজায় রেখে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে রীতিমতো দাপট দেখিয়েছেন হরমনপ্রীতরা। সেই সুবাদে আগেই নিশ্চিত হয়েছিল শেষ চারের টিকিট। তবুও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উন্মাদনা কমেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মধ্যে লড়াইও হয়েছে বেশ উপভোগ্য। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলে শেষ হাসি হেসেছে ভারত। অথচ প্রথম কোয়ার্টারের অষ্টম মিনিটেই পাকিস্তানকে লিড এনে দিয়েছিলেন নাদিম আহমেদ। অপ্রত্যাশিতভাবে পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। খেলার গতি এবং আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে প্রতিপক্ষকে পাল্টা চাপে ফেলে দেয় মেন-ইন-ব্লু। ১৩ মিনিটে পর পর দু’টি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নেয় কোচ ফুলটনের দল। প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন গুরজ্যোৎ সিং। তবে দ্বিতীয়টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি অধিনায়ক হরমনপ্রীত। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আরও আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকে ভারত। তারই ফসল ওই পর্বে চতুর্থ মিনিটের গোল। এবারও পেনাল্টি কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদে দলকে এগিয়ে দেন হরমনপ্রীত।
শেষ দু’টি কোয়ার্টারে একের পর এক আক্রমণ তৈরি করে পাকিস্তানের রক্ষণকে ক্রমাগত ব্যস্ত রেখে গিয়েছেন অভিষেক, জারমানপ্রীতরা। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও সফল হয়নি পাক দল। বরং হতাশায় গা-জোয়ারি হকি খেলতে দেখা যায় তাদের। বেশ কয়েকবার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। ৪২ মিনিটে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখে ৫ মিনিটের জন্য মাঠ ছাড়তে হয় পাকিস্তানের সুফিয়ানকে। এরপর ৫০ মিনিটে যুগরাজকে স্টিক ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন রানা। তাঁকে ১০ মিনিটের জন্য বের করে দেন আম্পায়ার। ফলে ম্যাচের শেষ পর্বে ১০ জনে খেলতে হয় পাকিস্তানকে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ভারতীয় দল। অবশ্য মনপ্রীত সিং হলুদ কার্ড দেখায় শেষ ৩ মিনিট ভারতকেও খেলতে হয় ১০ জনে।
এদিন হারলেও লিগ পর্বের দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে শেষ চারে পৌঁছেছে পাকিস্তান। দু’টি জয় ও দু’টি ড্রয়ের সুবাদে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। সোমবার প্রথম সেমি-ফাইনালে চীনের মুখোমুখি হবে তারা। শনিবার লিগের শেষ ম্যাচে জাপানকে ২-০ গোলে হারিয়ে বড় চমক দিয়েছে চীন।