ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
মুখোমুখি সাক্ষাতের নিরিখে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেই এদিন মাঠে নামে ইস্ট বেঙ্গল। অ্যাওয়ে ম্যাচে রক্ষণ জমাট রাখতে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল সাজান কুয়াদ্রাত। ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে শুরু করেন শৌভিক ও জিকসন। সিঙ্গল স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে রেখে দুই উইং থেকে নন্দ আর মহেশ ক্রমাগত গতি বাড়িয়ে আক্রমণে ওঠেন। গত মরশুমে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে লিড নিয়েও বিতর্কিত পেনাল্টির জেরে হারতে হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গলকে। এদিন অবশ্য প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে শুরু থেকেই ফিজিক্যাল ফুটবল খেলার চেষ্টা করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে কুয়াদ্রাতের এই স্ট্র্যাটেজি ধোপে টেকেনি। সুনীলদের রুখতে গিয়ে অহেতুক হলুদ কার্ড দেখেন নন্দ-লালচুংনুঙ্গারা। এরইমধ্যে ১২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জিকসনের দূরপাল্লার শট বিপন্মুক্ত করেন গুরপ্রীত। ১৮ মিনিটে সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। নন্দর মিস পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে মেন্ডেজের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে মিনিট সাতেক বাদেই পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন ভেঙ্কটেশ। এডের মেন্ডেজের পাস ধরে ডানদিক থেকে কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান তরুণ ফুটবলার (১-০)।
মরশুমের শুরুতেই ইস্ট বেঙ্গলের রক্ষণের পারফরম্যান্স নিয়ে দেখা দিয়েছে হাজার প্রশ্ন। ডুরান্ড কাপের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন জোড়া বিদেশি ডিফেন্ডারে দল সাজান কুয়াদ্রাত। তবে তাতেও দুর্গ অক্ষত রাখতে ব্যর্থ লাল-হলুদ কোচ। বরং এক গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় তাঁর দলের সেরা স্ট্রাইকারকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধাম্ত অনেককেই বিস্মিত করেছে। ৫৭ মিনিটে দিমিত্রিয়সের জায়গায় তালালকে মাঠে নামান কুয়াদ্রাত। তবে তাতেও ইস্ট বেঙ্গলের আক্রমণে খুব একটা গতি বাড়েনি। বরং ৬৯ মিনিটে অফ-সাইডের কারণে পেরেরা ডিয়াজের গোল বাতিল না হলে ম্যাচ তখনই পকেটে পুরে ফেলত বিএফসি।
৭০ মিনিট পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক আক্রমণ গড়ে তুলতে না পারায় একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন এনে শেষ চেষ্টা চালান কুয়াদ্রাত। ক্লেটন-বিষ্ণুরা নামতে গতি বাড়ে লাল-হলুদ আপফ্রন্টে। ৮৫ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেটন। তবে ৮৭ মিনিটে ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লালচুংনুঙ্গা মাঠ ছাড়তেই ইস্ট বেঙ্গলের যাবতীয় লড়াইয়ে যবনিকা পড়ে।
ইস্ট বেঙ্গল: প্রভসুখন, রাকিপ (আমন), ইউস্তে, হিজাজি (ক্লেটন), লালচুংনুঙ্গা, জিকসন, শৌভিক (ডেভিড), সাউল, নন্দ, মহেশ (বিষ্ণু) ও দিমিত্রিয়স (তালাল)।