মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
টস জেতার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলা। খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ওপেনার কৌশিক ঘোষের সংগ্রহ মাত্র ৭ রান। অভিষেক রামন শুরুটা ভালো করেও ১৪ রানে উইকেট ছুঁড়ে দেন। ধস ঠেকাতে অর্ণব নন্দীকে চার নম্বরে নামান কোচ অরুণ লাল। তাঁর সেই কৌশল কাজে লাগেনি। ১১ রান করে অর্ণব বোল্ড হন বিনয় চৌধুরির বলে। পাঞ্জাবের এই স্পিনারটি একাই নিয়েছেন ৬টি উইকেট। মৃত্যু মিছিলে মূর্তের মতো দাঁড়িয়েছিলেন একা মনোজ তিওয়ারি। অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে পাঞ্জাবের বোলারদের সামনে তিনি ইস্পাত-কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বাকিদের থেকে একটু সহায়তা পেলে রনজি ট্রফিতে আরও একটা শতরান তিনি সহজেই লিখতে পারতেন নামের পাশে।
৩৯তম ওভারে বিনয় চৌধুরির বোলিং-এ একে একে সাজঘরে ফেরেন শ্রীবৎস গোস্বামী (১৯), অনুষ্টুপ মজুমদার (০) ও শাহবাজ আহমেদ (০)। ঋত্বিক চ্যাটার্জির সংগ্রহ ২ রান। আকাশ দীপকে মাঠ ছাড়তে হয় শূ্ন্য হাতে। অভিষেক রনজি ম্যাচ খেলতে নামা রমেশ প্রসাদ (০) বাকিদের মতোই ব্যর্থ। মনোজ ১০৮ বলে সাতটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তাঁর রানটা বাদ দিলে দলের বাকি দশজন ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ মোট ৬৫ রান। দলের এই ব্যাটিং ভরাডুবিতে বেজায় ক্ষুব্ধ কোচ অরুণ লাল। পাতিয়ালা থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘এত খারাপ ব্যাটিং হবে ভাবিনি। আরও সতর্ক হয়ে খেলা উচিত ছিল। মনোজকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ওর এই অনবদ্য ইনিংসের জন্য। পাঞ্জাবকে দু’শোর মধ্যে আটকে রাখতে হবে।’ দিনের নায়ক মনোজের কথায়, ‘এই ধরনের উইকেটে ব্যাট করা মোটেও সহজ নয়। সকালের দিকে পেসাররা সুবিধা পেয়েছিল। পরে স্পিনাররা ভালো বল করেছে। আমার সঙ্গে যদি দু-একটা বড় পার্টনারশিপ হতো, তাহলে দলের স্কোর দু’শোর গণ্ডি সহজেই টপকে যেত। খেলা এখনও অনেক বাকি। দিনের শেষ বলে ওদের এক ব্যাটসম্যান আউট হয়েছে। সেই সুযোগটা কাল আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’