মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এই দুই ম্যাচে কাফ মাসলে চোট থাকায় খেলেননি লেফটব্যাক ধনচন্দ্র। তিনি আসার পর থেকেই মোহন বাগানের ডিফেন্স সংগঠিত হয়। তিনি আসার আগে গুরজিন্দরকে এই জায়গায় খেলানো হচ্ছিল। তার ফলে বাগানের আক্রমণ মূলত হচ্ছিল ডানপ্রান্ত দিয়ে। ধনচন্দ্র আসায় বাঁ-প্রান্ত দিয়ে নাওরেমের সঙ্গে বোঝাপড়া খুব ভালো হয়ে যায় তাঁর। দুই খেলোয়াড়ের বোঝাপড়ায় বাঁ-প্রান্ত সচল হয়ে ওঠে। মোহন বাগান অধিনায়কের মতে, ‘এই ক্লাব আমার কাছে পুরানো নয়। ২০১৬ সালে খেলে গেছি বাগানে। এই মরশুমে দলে আসার পর শিলটন পাল বাদে কাউকেই চিনতাম না। এছাড়া কাফ মাসলেও একটা সমস্যা ছিল। তাই লিগের প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারিনি। কিন্তু দলে আসার পর ধীরে ধীরে খেলার স্টাইল রপ্ত করেছি। এখন খেলা চলাকালীন মুনোজ, মোরান্তের সঙ্গে প্রচুর কথা বলি। তাই ভাষাগত সমস্যাও দূর হয়েছে। ২০১২ সালে ইউনাইটেডের কোচ এলকো শাতোরি প্রথম আমাকে সাইডব্যাকে নিয়ে আসে। সেই থেকে এই পজিশনেই সাবলীল হয়ে যাই। আর আমাকে লম্বা থ্রো করতে শিখিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার কোচ বিমল ঘোষ।’
প্রসঙ্গত, এই ক্লাব থেকেই ২০০৭ সালে খেলা শুরু করেন ধনচন্দ্র। এরপর চার্চিল, মুম্বই এফসি, পুনে এফসি, ইউনাইটেড, চেন্নাইয়ান এফসি, জামশেদপুর এফসি ঘুরে ফের বাগানে আসেন এই ডিফেন্ডার। এবারের আই লিগে মোহন বাগানকে নির্ভরতা দিচ্ছেন ধনচন্দ্র-আশুতোষ। দলের ভারতীয় গ্রুপের দুই সফলতম ডিফেন্ডার।
মোহন বাগানে অরিজিৎ বাগুই থাকা সত্ত্বেও শক্তপোক্ত চেহারার ডিফেন্ডার দরকার ছিল। কোচ কিবু এই অবস্থায় আশুতোষ মেহতাকে খেলানো শুরু করেন। ২০১৫ সালে বাগান শিবির থেকে প্রথম অফার দেওয়া হয় আশুতোষকে। তখন এই অফার ফিরিয়ে দিয়ে পুনে এফসিতে যোগ দেন এই খেলোয়াড়। ২০১৭ সালে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল দলেও ছিলেন তিনি। ২০১৭-১৮ মরশুমে খেলেন এটিকের হয়ে। এরপর পুনে সিটি এফসি ঘুরে মোহন বাগানে ফেরা। এবারের আই লিগ মরশুমে এখনও পর্যন্ত ১১টি ম্যাচে মাত্র ৯টি গোল খেয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। যার মধ্যে শেষ ন’টি খেলায় মাত্র ৫টি গোল খেয়েছে মোহন বাগান।
তাই বুধবারের প্র্যাকটিসে দলের মিডফিল্ডারদের দিকে নজর দেন কোচ। আগের ম্যাচে গোলরক্ষক শঙ্কর রায়ের আউটিং নিয়ে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। কিবু তাই প্র্যাক্টিসে সেদিকেও নজর দিলেন। শঙ্কর বলেন,‘অনুশীলনে পরিশ্রমের মধ্যেই চেষ্টা করছি খামতি দূর করার।’
উল্লেখ্য, গোলে শঙ্কর নিয়মিত হয়ে ওঠার পর মোহন বাগান হারেনি। এদিন স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাস অনুশীলন করেন। প্র্যাকটিস শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তিনি ড্রেসিংরুমে চলে যান। তাঁকে খেলাতে চাইছেন না কিবু। তবে আশুতোষের জায়গায় চুলোভা খেলতে পারেন নেরোকা ম্যাচে।