ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
সিএডিসি মোড় থেকে একদিকে চলে গিয়েছে পাথর শিল্পাঞ্চল যাওয়ার রাস্তা। অপর দিকে মুর্শিদাবাদ সহ উত্তরবঙ্গ এবং আরেক দিকে জেলার সদর শহর সিউড়ি, রানিগঞ্জ সহ কলকাতা যাওয়ার রাস্তা। নিত্যদিন কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এই শিল্পাঞ্চলে হাজার হাজার লরি আসে। তেমনি দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে বহু পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া সিএডিসি মোড় ব্যবহার করে সতীপীঠ নলাটেশ্বরী মন্দিরে দূরদূরান্তের বহু পর্যটক আসে। এহেন গুরুত্বপর্ণ মোড়ে জাতীয় সড়কের পিচ, পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। এই মোড় পার হতে গিয়ে প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। যার জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট কাটাতে কালঘাম ছুটছে পুলিসের। এরই মধ্যে পথ চলতে গিয়ে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে স্কুল পডুয়া থেকে সাধারণ মানুষকে।
ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা লরি চালক সাদ্দাম শেখ বলেন, গর্ত বাঁচিয়ে কত আর চলা যায়। অনেক গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যাচ্ছে। অন্যদিকে কলকাতা থেকে নলাটেশ্বরী যাওয়ার পথে অটোয় বসে থাকা এক পর্যটক তমালি চট্টোপাধ্যায় বলেন, সড়কের এই অংশের যা অবস্থা তাতে ঝাঁকুনিতে কোমর খুলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এদিকে তারাপীঠ থেকে নলহাটি পর্যন্ত সড়ক ভালো থাকলেও জায়গায় জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। যে কোনও সময়ে গর্তে চাকা পড়ে গাড়ি উল্টে প্রাণহানি হতে পারে।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং বলেন, বহুবার সড়কের এই অংশের করুণ দশার বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করছে না। ফলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। জাতীয় সড়কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত গড়াই বলেন, বিষয়টি নজরে রয়েছে। পুজোর আগেই ওই অংশ ছাড়াও সড়কের সমস্ত বেহাল অংশ সারানো হবে।