ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
সিআইএসএফ কর্মী সমীর ঘোষের বাড়ি হরিরামপুরে দাসপুর-মেদিনীপুর রাস্তার সংলগ্ন এলাকায়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সমীরবাবুর মা প্রতিমা ঘোষ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ একটি বাইক তাঁর সামনে থামে। প্রথমে ওই প্রৌঢ়া মনে করেছিলেন, বাইকের যুবকরা কোনও ঠিকানা জিজ্ঞাসা করার জন্য থেমেছে। প্রতিমাদেবী বলেন, এক যুবক আমার সোনার মোটা হারটি ছিঁড়ে নিয়ে বাইকে করে চলে যায়। তখনই আমি চিৎকার করতে শুরু করি। প্রতিমাদেবীর চিৎকার শুনে কয়েকজন যুবক বাইক নিয়ে দুষ্কৃতীদের বাইকের পিছনে ধাওয়া করেন। এদিকে কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার থেকে দাসপুর-মেদিনীপুর রাস্তার উপর জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোনও গাড়ি চলাচল করেনি। দুষ্কৃতীরা রাজনগরে রাস্তার উপর জল দেখে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পিছনে ধাওয়া করা যুবকরা পৌঁছে যেতে হকচকিয়ে যায় তারা। অভিযুক্তরা বাইক রেখে পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে তালপাতার আড়ালে জলে ডুবে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। রাজনগরের বাসিন্দারাও জলে নেমে তাদের টেনে তুলে আনে। তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হারের একাংশও উদ্ধার হয়। যদিও পুলিসের হাতে দুষ্কৃতীদের তুলে দিলেই পরে তাদের ছেড়ে দেবে, এই অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা দুষ্কৃতীদের আটকে রাখে। পরে দাসপুর থানার ওসি অঞ্জনিকুমার তেওয়ারি ঘটনাস্থলে যান। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান জনতা। পরে ক্ষিপ্ত জনতাকে বুঝিয়ে অভিযুক্তদের পুলিসের গাড়িতে করে তুলে থানায় নিয়ে যায়। থানাতে পৌঁছানোর পরই এক ধৃত পালিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর থানা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের এক পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাকে ধরা করা হয়।