হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে মেদিনীপুরে। প্রায় ১৫ মিনিটের টানা বৃষ্টিতে শহরের রাজাবাজার, পঞ্চুর চক, গান্ধী মোড়, এলআইসি মোড়, বটতলা, সহ বিভিন্ন জায়গায় নিকাশি নালার জল রাস্তার উপর দিয়ে বইতে থাকে। এই পরিস্থিতির জন্য শহরের বাসিন্দারা বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই দুষছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের আগে নিকাশির হাল ফেরানোর আশ্বাস দেয়। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি এখনও। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবৈজ্ঞানিক ভাবে নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে। ওইসব নালা বেশির ভাগ সময়ে আবর্জনায় ভরে থাকে। তা ছাড়া জলযন্ত্রণার আরও একটি কারণ, বিভিন্ন এলাকায় জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ। তার পিছনে রাজনৈতিক নেতাদের মদত থাকে বলেও অভিযোগ।
জলযন্ত্রণার জন্য অবশ্য নিজের গা থেকে দায় ঝেড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, বর্ষায় যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য নালা পরিষ্কার করা হয়েছে। লক্ষাধিক টাকায় মহানালা পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু নিকাশি নালা দখল করে বহু দোকানদার কংক্রিটের নির্মাণ পর্যন্ত করে ফেলেছেন। নালার মধ্যেই চায়ের কাপ, প্লাস্টিক ফেলা হচ্ছে। এর ফলে নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাফাই কর্মীদের। তাঁর সংযোজন, ফুটপাতের দোকানদার থেকে শুরু করে নাগরিকরা যদি সচেতন না হয়, তাহলে পুরসভা যতই নালা পরিষ্কার করুক না কেন, কিছুতেই জলযন্ত্রণা ঘুচবে না।
যদিও এনিয়ে চেয়ারম্যানকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের দলের মদতেই তো ফুটপাত বেদখল হয়ে গিয়েছে। পুরসভার মদত না থাকলে কী কেউ কোনও দিন নিকাশি নালার উপর কংক্রিটের নির্মাণ করতে পারেন? এখন ফুটপাতের দোকানদারদের দোষ দিলে তো হবে না।