হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
ব্রজলালচক বাজার কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের (বর্তমান ১১৬ নম্বর) চৌমাথা ক্রসিং এলাকায় রাস্তার উপরে থাকা দখলদারদের সরানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তিন সপ্তাহের মধ্যে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরে সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা ব্রজলালচক মোড় নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। তাঁদের অভিযোগ, জেলা ও মহকুমা প্রশাসন এবং বিশেষত জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বার বার গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন জমা দেওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সে কারণে বাধ্য হয়েই জনস্বার্থ মামলা করেন তাঁরা। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা শোনার পর দখলদার সরানোর কড়া বার্তা দেন। পর পর দুর্ঘটনার পরও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই তোড়জোড় শুরু করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রজলাকচকে প্রায় চারশো দোকানদারকে নোটিস দিয়েছে তারা। ওই দোকানদারদের সরে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের ওই নির্দেশিকা কেউ মানেনি বলে অভিযোগ। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশের পর ১৫ দিনের বদলে তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ব্রজলালচক বাজারের এক কর্মকর্তা এবং তৃণমূল নেতা অলোকরঞ্জন দাস বলেন, পুলিস ও প্রশাসন এবার হাইকোর্টের রায় অবমাননার অভিযোগে পড়বে। ভবানীপুর থানা কোনওভাবেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও ব্রজলালচক নিয়ে কারও হেলদোল নেই। বিডিওর নেতৃত্বাধীন কমিটিও ঠুঁটো জগন্নাথ। মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দেখবে। স্থানীয় মানুষরা বলেন, প্রাণ হাতে করে ব্রজলালচক বাজারে আসতে হয়। দখলদারির পাশাপাশি জাতীয় সড়ক ঢেউ খেলানো হওয়ায় বিপদ বাড়ছে। মোড়ের মাথায় ন্যূনতম আলো পর্যন্ত নেই। শুধু পথ নিরাপত্তা নয়, চোর ছিনতাইবাজদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। মহিলারাও নিরাপদে হাঁটাচলা করতে পারেন না।